নুরা পাগলার মরদেহে আগুন: দ্রুত ব্যবস্থা নেবে সরকার
Published: 5th, September 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার কবর অবমাননা এবং তার মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই অমানবিক ও জঘন্য কাজ আমাদের মূল্যবোধ, আইন এবং ন্যায়ভিত্তিক ও সভ্য সমাজের মূল কাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
‘গ্রামেও শহরের সমান নেট সেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিন নীতিমালার খসড়া অনুমোদন
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সরকারি বিবৃতির বরাত দিয়ে জানান, এই ধরনের কাজ কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং জীবিত কিংবা মৃত-প্রতিটি মানুষের মর্যাদা রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায়মুক্ত নয়। দোষীরা যেন তাদের কাজের পরিণতি ভোগ করে সেজন্য দ্রুত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি বিবৃতিতে দেশের সব নাগরিকদের প্রতি ঘৃণা প্রত্যাখান, সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও মানবতার নীতিগুলোকে ধারণ করার আহ্বান জানানো হয়।
আরো পড়ুন: ইমাম মাহাদী দাবি করা ‘নুরাল পাগলা’র দেহাবশেষ তুলে আগুন
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগেএল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।
শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে