হামলার জন্য গণঅধিকারকে নিষিদ্ধ করতে হবে: জাপা মহাসচিব
Published: 5th, September 2025 GMT
জাতীয় পার্টির কাকরাইল অফিসে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করেছে জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টি। সন্ত্রাস আইনে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছে দলটি।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হামলার স্থল পরিদর্শন শেষে জাপা মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের এ দাবি জানান।
আরো পড়ুন:
নুরের চিকিৎসা ও বিচারে বিলম্ব কাম্য নয়: জামায়াত
‘দোসর ইনু-মেননরা গ্রেপ্তার হলে জিএম কাদের কেন নয়?’
এ সময় তিনি বলেন, “নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহণ করলে নিশ্চিত পরাজয় হওয়ার আশঙ্কায় অন্যদলগুলো বারবার হামলা করছে জাতীয় পার্টির অফিসে।”
তিনি বলেন, “বিনা কারণে বারবার জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা ও আগুন দেওয়া হচ্ছে। এ হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের জন্য গণঅধিকারের নেতাকর্মীরা দায়ী। শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে এসে তারা আমাদের অফিসে হামলা করেছে। এ কারণে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গণঅধিকার পরিষদকে নিষিদ্ধ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
অন্যদিকে, হামলা অগ্নিসংযোগের পর এর প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, হেলাল উদ্দিনসহ নেতারা অংশ নেন।
সন্ধ্যায় যখন দুর্বৃত্তরা জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, তখন কোনো রকমে জীবন নিয়ে আতঙ্কে পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে আসেন বলে দাবি করেছেন মহিলা পার্টির সভানেত্রী হেনা খান।
তিনি বলেন, “কোনো রকমে আমরা প্রাণ নিয়ে বের হয়ে এসেছি।”
গণঅধিকারের মিছিল থেকে হামলা হয়েছে দাবি করে দলের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, “কাল ঈদে মিলাদুন্নবীর প্রোগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, এর মধ্যেই তারা মিছিল নিয়ে হামলা করেছে। আগুন দিয়েছে, লুটপাট করেছে। বারবার তারা হামলা করবে, আমরা কি চুপ করে বসে থাকব। আমরা এখনও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ন্যায়বিচার না পেলে দেশবাসীকে নিয়ে আমরা হামলাকারীদের প্রতিরোধ করব।”
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সংহতি সমাবেশ শেষে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। মিছিল নিয়ে বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে সামনে পৌঁছান তারা।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও থমথম অবস্থা জাপার অফিসের আশপাশে, রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও। এর আগেও একাধিকবার এই কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছিল।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল হক ন র গণঅধ ক র র অফ স
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল