কখনো কাঁধে মাথা, কখনো হাতে হাত, সামান্থার প্রেম অন্তর্জালে সয়লাব
Published: 6th, September 2025 GMT
বিমানে পাশাপাশি সিটে সামান্থা রুথ প্রভু ও পরিচালক রাজ নিদিমোরু। হাস্যোজ্জ্বল মুখে এই নির্মাতার কাঁধে মাথা রেখে বসে আছেন সামান্থা। গত মে মাসে সামান্থা তার ইনস্টাগ্রামে বেশ কটি ছবি পোস্ট করেন। তার একটিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়; যা পরে অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়ে। গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান রাজ-সামান্থা। দেশটির মিশিগান সিটিতে সামান্থার কাঁধে হাত রেখে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।
কিছু দিন আগে দুবাই ট্যুরে যান সামান্থা-রাজ। কয়েক দিন আগে সামান্থা তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। তাতে দেখা যায়, বিভিন্নভাবে সময় উপভোগ করছেন সামান্থা। একটি শটে দেখা যায়, কোনো পুরুষের হাত ধরে আছেন সামান্থা। ওই ব্যক্তির পরেন জিন্স, গায়ে জ্যাকেট। তাছাড়া কখনো রাজের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন, কখনো কোনো অনুষ্ঠানে একসঙ্গে হাজির হচ্ছেন সামান্থা। ফলে এ জুটির প্রেমের গুঞ্জনে সয়লাব অন্তর্জাল।
আরো পড়ুন:
ফের আইটেম কন্যা সামান্থা?
আলিয়া-দীপিকা-রাশমিকাকে টপকে শীর্ষে সামান্থা
নাগা চৈতন্যকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সামান্থা। ২০২১ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। সামান্থার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালারের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান নাগা চৈতন্য; পরে তারা সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তবে দীর্ঘদিন একা ছিলেন সামান্থা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসে।
টাইমস নাউ এক প্রতিবেদনে জানায়, পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু। এ পরিচালক সামান্থাকে ওয়েব দুনিয়ায় অভিষেক ঘটিয়েছেন। সামান্থার অভিষেক ওয়েব সিরিজ ‘ফ্যামিলি ম্যান টু’-এর নির্মাতা রাজ। এরপর ‘সিটাডেল: হানি বানি’-তে একসঙ্গে কাজ করেছেন তারা। মূলত, একসঙ্গে টানা কাজ করতে গিয়েই তাদের সম্পর্কের সূচনা।
২০১৫ সালে শ্যামলী ডির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজ। ফলে খবর ছড়ায়, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন সামান্থা। তবে রাজ-শ্যামলীর ঘনিষ্ঠজন এনডিটিভিকে বলেন, “২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে রাজ-শ্যামলীর।”
ডেকান ক্রনিকল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজ নিদিমোরু চলতি বছরের শেষের দিকে তারা তাদের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
সামান্থা-রাজের ঘনিষ্ঠজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “তারা পরস্পরের প্রতি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা তাদের সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে চান।”
রাজের ডিভোর্স প্রসঙ্গে সূত্রটি বলেন, “রাজ-শ্রামলী আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়েছেন। আসলে, সামান্থা কখনো এমন কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতেন না, যেখানে আইনত ও মানসিকভাবে মুক্ত নন। রাজের বিচ্ছেদের পরই তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সামান্থা। প্রায় দুই বছর আগে রাজ-সামান্থার প্রেমের সূচনা।”
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও অন্তর্জালে রাজ-সামান্থার প্রেম নিয়ে ফিসফাস চললেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন এই চর্চিত যুগল।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।