ছোট চন্দ্রাইলে পানিবন্দি ৩ শতাধিক পরিবার, দুর্ভোগ চরমে
Published: 6th, September 2025 GMT
ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট চন্দ্রাইল এলাকা বছরের অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে। তিন শতাধিক পরিবার প্রায় তিন বছর ধরে পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে।
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ, বাড়ছে রোগবালাই। দ্রুত এ দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান স্থানীয়দের।
এলাকাবাসী বলছেন, ২০১৬ সালে ধামরাই পৌরসভা ক শ্রেণিতে উন্নীত হলেও আশানুরূপ সেবা পাচ্ছে না স্থানীয়রা। তালতলা কমিশনার মোড় থেকে ছোট চন্দ্রাইল হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পর্যন্ত রাস্তায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বছরের অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধতা থাকে।
তিন শতাধিক পরিবার, তিনটি স্কুল ও একটি মাদ্রাসার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ময়লা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছে। এতে ডায়রিয়া, চর্মরোগ, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে পানি ঢুকে যায়, অনেকের ঘর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অভিযোগ সত্ত্বেও কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এমনটিই অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।
গৃহবধূ রাজিয়া আক্তার বলেন, “আমার স্বামী অটোরিকশা চালায়, সেটা বাড়িতে আনা যায় না, খুব সমস্যা। বাচ্চা স্কুলে যেতে পারে না। আমরা বাসা থেকে বের হতে পারি না। পানি ঘরের গেট পর্যন্ত। বর্জ্যের পানিতে সবসময় দুর্গন্ধ থাকে। আমরা এই আজাব থেকে মুক্তি চাই।”
রাহেলা খাতুন নামে এক গৃহবধূ বলেন, “রাস্তায় অনেক দিন যাবৎ পচা পানি। ৩-৪ বছর তো হবেই। পানি নিষ্কাশনে কোনো ব্যবস্থা নাই। এলাকার লোকজন নিজস্ব উদ্যোগে পরিষ্কার করলেও আগের মতোই হয়ে যায় কয়েক দিনে। আমাদের ৩-৪টা ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে দাঁড়িয়ে রান্না করি। বাচ্চাদের চুলকানি রোগ সারে না। আর ঠান্ডা-জ্বর তো আছেই। খুব অসহায় অবস্থায় আছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, “গত তিন বছর এই পানি রাস্তায়। একটু বৃষ্টি হলে ঘরে ঢুকে। দুর্গন্ধ থাকে। সবাই খুব কষ্টে আছে। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। হাঁটাও যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”
এদিকে দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা ও দীর্ঘমেয়াদি পানি নিষ্কাশন পরিকল্পনা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ধামরাই পৌরসভার প্রশাসক মো.
ঢাকা/সাব্বির/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাহরাইনের প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যে ভিসা চালুর অনুরোধ
ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ভিসা পুনরায় চালুর এ অনুরোধ জানান।
বাহরাইনে ২১তম আইআইএসএস মানামা সংলাপের ফাঁকে শনিবার (১ নভেম্বর) দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন খালিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে ভিসা পুনরায় চালুর অনুরোধটি জানান উপদেষ্টা।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে তৌহিদ হোসেন কমিউনিটির কল্যাণ নিশ্চিত এবং সামাজিক সম্পর্ক মজবুতের লক্ষ্যে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান।
বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তার দেশের সরকার ধাপে ধাপে ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে।
বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তরে একটি চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপের অধিবেশনের পাশপাশি আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এসব আয়োজনে বিশ্ব নেতা, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা