অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। বাংলাদেশের তারকাদের, বিশেষ করে নারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রলের শিকার হতে হয়। অন্য দশজন তারকার মতো শবনম ফারিয়া সব মুখ বুজে সহ্য করেন না। নেটিজেনদের সমালোচনার জবাব দিতেও দ্বিধা করেন না তিনি। শুধু ব্যক্তিজীবন নয় রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন শবনম ফারিয়া। সরকারের কাজ পছন্দ হলে প্রশংসা করেন আবার পছন্দ না হলে সমালোচনা করেন। সেজন্য অনেকেই তার রাজনৈতিক অবস্থান জানতে আগ্রহী।
 
রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা দিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,  ‘‘আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দল আছে বা সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের কারোর সঙ্গেই আমার কোনো সমর্থন নেই। আমার পেজ পাবলিক, সেখানে যেমন কালা মাগুর কমেন্ট করতে পারে, তেমনি নীল তিমি, কাউয়া কিংবা টিয়াও পারে! তাতে আমার রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিফলিত হয় না।’’

এ অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘‘আমি কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নই। বরং বলতে পারেন ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি শিল্পী, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতে চাই। রাজনীতি আমার ‘মঞ্চ’ না। ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ, চোরকে চোর, আর চাঁদাবাজকে চাঁদাবাজ বলাই আমার নীতিতে পড়ে।’’

আরো পড়ুন:

আজ সালমান শাহর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

বিবৃতি চাই না, মব সামলা: আশফাক নিপুন

দীর্ঘ ওই পোস্টে ফারিয়া উল্লেখ করেছেন, ‘‘ ‘জীবনে কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যেগুলোর জন্য নিজে কোনোভাবেই দায়ী নই। যেমন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা-ই লিখি, কিছুক্ষণ পর দেখি সেটা খবর হিসেবে ছাপা হচ্ছে! প্রথমে হাসাহাসি করতাম, পরে বিব্রতবোধ হতো, আর এখন যেহেতু নিয়মিত অভিনয় করি না তাই “Who cares?” মুডে ঢুকে গেছি। কিন্তু কিছু ঘটনা থাকে, যেগুলো শুধু বিব্রতকর না, বিরক্তিকরও বটে! বিশেষ করে, জোর করে আমাকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা।’’

অপ্রয়োজনীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে চান বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ব্যস্ত থাকতে চান নিজের অভিনয় আর চাকরি নিয়ে।  ফারিয়া লিখেছেন, ‘‘অপ্রয়োজনীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। তা না হলে অভিনয় এর পাশাপাশি চাকরি না করে, টিকটকে নাচতাম, জিম করতাম, আর ব্যাকা হয়ে দাঁড়িয়ে পশ্চাৎদেশের মিরর সেলফি দিতাম। এই দেশে অ্যাটেনশনের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না, আমিও জানি, আপনারাও জানেন। আমি এখন ব্যক্তিগতভাবে খুব কঠিন ও সংকটপূর্ণ একটা সময় পার করছি।’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই ইংল্যান্ড, গড়ল বিব্রতকর রেকর্ডও

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে শেষ ওয়ানডেতেও হারল ইংল্যান্ড। ওয়েলিংটনে আজ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ২২৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল ইংল্যান্ড।

শেষ পর্যন্ত দুই কিউই পেসার জাকারি ফোকস ও ব্লেয়ার টিকনারের ব্যাটে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই (৩–০) করল নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে এ নিয়ে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয়বার ধবলধোলাই করল কিউইরা। প্রথম ধবলধোলাই করেছিল ১৯৮৪ সালে।

হারের এই ম্যাচে বিব্রতকর এক রেকর্ডও গড়েছে ইংল্যান্ড। এই সিরিজে তিন ম্যাচ মিলিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে মাত্র ৮৪ রান করেছেন। পুরুষদের ওয়ানডে সিরিজে বা টুর্নামেন্টে (যেখানে অন্তত তিনটি ইনিংসে ব্যাটিং করেছে) কোনো দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৮৮ এশিয়া কাপে, বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে করেছিলেন ৮৯ রান।

তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ভালো শুরু পেয়েছিল। ১২.৫ ওভারে ৭৮ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কনওয়ে ৩৪ রানে রানআউট হলে জুটিটি ভাঙে। রবীন্দ্রর শট বোলার জেমি ওভারটনের হাতে লেগে নন স্ট্রাইকের স্টাম্পে লাগে। তখন কনওয়ে ছিলেন ক্রিজের বাইরে। একইভাবে আউট হয়েছেন টম ল্যাথামও। দুটি রানআউট এবং ওভারটন ও স্যাম কারেনের দারুণ বোলিংয়ে একটা সময়ে ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।

আরও পড়ুনরেকর্ড গড়া বাবরের রান পাকিস্তানের জয়ে কাজে লাগে না—কথাটি কতটুকু সত্য৩ ঘণ্টা আগে

নিউজিল্যান্ডের ১৯৬ রানে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ড্যারিল মিচেল আউট হলে ম্যাচ ইংল্যান্ডের দিকেই হেলে পড়ে। তবে নবম উইকেটে দুই পেসার ফোকস ও টিকনারের ৩৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডই জয় পায়। ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও কারেন।

শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতল ২ উইকেটে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই ইংল্যান্ড, গড়ল বিব্রতকর রেকর্ডও