দু-একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে: আমিনুল
Published: 6th, September 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেছেন, “দেশে দু-একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি এসব দলের উদ্দেশ্যে বলেন, “ভুল পথে ধাবিত হবেন না।”
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্লবীতে পল্লবী ও রূপনগর থানা বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল-ডেন্টাল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপি একমাত্র দল যারা দেশকে রক্ষা করতে পারবে: দুদু
নুরের ওপর হামলা উদ্দেশ্যমূলক: মির্জা আব্বাস
আমিনুল হক বলেন, “দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৫ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এখন মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য।”
তিনি আরো বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুলে, বাংলাদেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
তিনি সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, “জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক, মাতৃসদন হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হবে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং স্থানীয় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।”
অনুষ্ঠানে পল্লবী ও রূপনগর থানা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আম ন ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
জ্বালানি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করার অঙ্গীকার করেছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মনোনীত যুব সংসদের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা জনগণের মৌলিক অধিকার। জ্বালানি খাতে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই সংগ্রামের অঙ্গীকার। জ্বালানি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ক্যাব আয়োজিত প্রথম জ্বালানি যুব সংসদীয় অধিবেশনের শেষ দিনে আজ শনিবার এমন ঘোষণা পাঠ করে শপথ নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে শুক্রবার শুরু হওয়া দুই দিনের এ সংসদ শেষ হয় আজ।
শপথে আরও বলা হয়, জ্বালানি সংস্কার এই জ্বালানি অপরাধীদের বিচার দাবিকে জন–আন্দোলনের পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। জ্বালানি রূপান্তরে ক্যাবের ১৩ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
যুব সংসদের শেষ অধিবেশনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের এলাকায় লোডশেডিং একটা পরিচিত শব্দ। তারা শিক্ষিত না হলেও এটা জানে। একটা অসমতা রয়ে গেছে। আবার কৃষিতে বিদ্যুতের যে দাম, মাছ চাষ বা পোলট্রি খাতে সেই দামে দেওয়া হয় না। এটা করতে হলে ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় রাজি হয়েছে। এখন বিইআরসির অনুমোদন লাগবে।
যুব সংসদের সপ্তম অধিবেশনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে টাকা লুটপাট করাই ছিল ফ্যাসিবাদের সময় মূল কাজ। গত সরকার নিজেদের পকেটে টাকা ঢোকাতে সেদিকে নজর দিয়েছে। পৃথিবীকে বাঁচাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতেই হবে। বিএনপির ৩১ দফায় স্পষ্ট করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার লুণ্ঠনের উদ্দেশ্যে জ্বালানি খাতে দায়মুক্তির আইন করেছে দাবি করে ওই আইন বিলোপের দাবি জানান রুহুল কবির রিজভী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, শুধু জ্বালানি নয়, সব খাতেই সমস্যা আছে। রাজনৈতিক নেতা যদি অসৎ হয়, অস্বাভাবিক উপায়ে নেতা হন, সবকিছু তাঁরা অস্বাভাবিক উপায়ে করেন।
যুব সংসদের শেষ অধিবেশনে দুই দিনের সংসদের সারাংশ তুলে ধরা হয়।এতে বলা হয়, এতে ১০০ ‘সংসদ সদস্য’–এর অংশগ্রহণে ১৯টি প্রবন্ধ উপস্থাপনা ছিল দুই দিনের যুব সংসদে। এক হাজার নিবন্ধিত শিক্ষার্থী নিয়ে গত এক বছরে নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই সংসদ সদস্যদের বাছাই করা হয়।
দুই দিনের যুব সংসদে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোট আটটি অধিবেশনে জ্বালানি খাতের আলাদা আলাদা বিষয়ের ওপর বেশ কিছু নিবন্ধ তুলে ধরা হয়। এতে বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জ বা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার সমালোচনা করা হয়। জ্বালানি রূপান্তরে ক্যাবের ১৩ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানান অংশগ্রহণকারীরা।
শেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হলে জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত হবে।পরবর্তী যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এ আন্দোলনের দাবি মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।