ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

ডাকসু: নিরাপত্তাহীনতায় স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শামীম, থানায় জিডি

ডাকসু জরিপ: প্রধান তিন পদে জিতবে শিবির

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দিনব্যাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি হল শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।

ডাকসু নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেকোনো ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম, উপঢৌকন বিতরণ, আপ্যায়ন বা অর্থ সহায়তা নিষিদ্ধ করেছে ঢাবি প্রশাসন।

গত ২১ আগস্ট প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সময়ের মধ্যে এমন কার্যক্রম আচরণবিধির লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, এটি কোনো সেবামূলক কর্মসূচি নয়। বরং নির্বাচনী প্রচারণায় ক্যাম্পাসে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ বলেন, “এটা কোনো সেবামূলক কার্যক্রম নয়। নির্বাচনী প্রচারণায় ক্যাম্পাসে যেসব পোস্টার, লিফলেট পড়ে গেছে, আমরা সেগুলো নিজেদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করব।”

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “আমাদের কাছে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা সংশ্লিষ্ট গ্রুপকে জানিয়ে দেব, এটি আচরণবিধির আওতায় পড়ে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল আচরণব ধ ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর তফসিল সোমবার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।

জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি  আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।” 

আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।” 

ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন,  “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”

ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন
  • জকসুর তফসিল সোমবার