সোনারগাঁয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
Published: 7th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও কাঁচপুর এলাকায় টাকা আত্মসাৎ করে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে পারভেজ (২৫) নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে।
গত এক বছর আগে সোনারগাঁও কাচপুরে মো: কামাল সাউদ এর ভাগিনা রিফাতের কাছ থেকে অটোরিক্সা কেনার জন্য স্টাম করে এক কালিন ৩ লাখ টাকা নেয় পারভেজ।
পরে সেই অটোরিক্সা বিক্রি করে তালবাহানা করে টাকা দিতে পারেনা প্রতারক পারভেজ। পরে সেই ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য কামাল সাউদ এর ভাই শ্যামল সাউদ পারভেজকে কিস্তিতে ৩০ হাজার টাকা উঠিয়ে দেয়। কিস্তির টাকা কয়েক দিন দিয়ে পারভেজ কিস্তির আর কোন টাকা দেয়না।
কিস্তির টাকার না দেওয়া এক পর্যায় কামাল সাউদের সাথে পারভেজ তর্কে জড়িয়ে পরলে এক পর্যায় কামাল সাউদ চর থাপ্পর মারে। কামাল সাউদ বলেন সম্পর্কে পারভেজ আমার ভাতিজা হয়। তাই আমি শাসন করতে পারি।
সেই টাকা চাওয়ার সংক্রান্তের বিরোধে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পারভেজ এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ আগস্ট উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈহাকৈর নয়াপাড়া এলাকার আইয়ুব আলী ছেলে পারভেজ (২৫) ও মৃত আফির উদ্দিন সাউথের ছেলে কামাল সাউদের সাথে।
ভুক্তভোগী কামাল সাউদ জানায় চর থাপ্পরকে কেন্দ্র করে পাওনা টাকা ও কিস্তির টাকা দামাচাপা দিতে প্রতারক পারভেজ আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় একটি মিথ্যা মানববন্ধন করে আমাকে সামাজিকভাবে মানক্ষুন্ন করে।
ভুক্তভোগী কামাল সাউদের দাবি, পুলিশ মামলার বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ তদন্ত করলে সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন হবে ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ক ম ল স উদ
এছাড়াও পড়ুন:
পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য
থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা সহায়তা হিসেবে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন:
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
ইবিতে কুরআন ও হিজাববিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের
অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাডেমিক ও গবেষণামুখী শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা ও দোয়ার নিদর্শনস্বরূপ কিছু করতে পারায় আমরা আনন্দিত। আমরা থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি খুব শিগগিরই পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালু করব।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে প্রশাসন অব্যাহতভাবে কাজ করছে। গবেষণার সুযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “গবেষণার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের থিসিসে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুদান প্রদান একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। অনুদানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে।”
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় প্রতিটি থিসিস শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ১২৪ টাকা করে অনুদান পাবেন। এ অর্থ শুধু গবেষণাসংক্রান্ত কাজে ব্যয়যোগ্য এবং ‘থিসিস শিক্ষার্থীদের বৃত্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিটি অনুষদ থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে পরিচয়পত্র বা প্রবেশপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ করতে পারবেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী