ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-২ প্রকল্পে রাজধানীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার দাবিতে  ‘ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ’ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবন্ধন থেকে  প্রধান উপদেষ্টা ভবন ঘেড়াও , হরতাল ও লংমার্চ করার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা ।

বোরবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সামনে ‘ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ’ ব্যানারে বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানববন্ধন থেকে এমআরটি লাইন -২ এর দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্যে রাখেন।

এসময় উপস্থিত ‘ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ’ এর সমন্বয়ক ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, মহনগর সদস্য সচিব এড.

আবু আল ইউসুফ খান টিপু মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন সেন্টু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার, মহানগর খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার মাহমুদ বকুল, ছাত্র ফেডারেশন জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা।

এছাড়া  উপস্থিত ছিলেন মহানগর কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল কবির নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক শওকত খন্দকার, বন্দর থানা যুবদল নেতা আমীর হোসেন, জুয়েল রানা প্রমুখ।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, জনপ্রতিনিধিরা দেশের স্বার্থ চিন্তা না করে লুটপাটে মগ্ন ছিল। তার প্রেক্ষিতে ঢাকার আশে-পাশের ৫ থেকে ৬টি জেলা সংযুক্ত হলেও পাশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা হওয়া সত্ত্বেও সবসময় আমরা বঞ্চিত হয়েছি।

বঞ্চনার দিন শেষ আগামীর বাংলাদেশে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আমাদের সকলের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জকে এমআরটি লাইন-২ প্রকল্পে যুক্ত করতে হবে। এটি রাজনৈতিক দলের দাবি নয়, এটি নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবি।’
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আন্দোলনকারী ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের দাবি

আন্দোলনকারী ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের আপত্তিকর মন্তব্যের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। পরে ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশকরেনিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ওই শিক্ষক।

ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক নাছির উদ্দীনমিঝির। তিনি আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষক সংগঠন গ্রিন ফোরামের সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে আবদুল্লাহ বিন আসাদ নামের এক আইডি থেকে ৪ মিনিট ৭ সেকেন্ডের ওই অডিও প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার সকালে বিষয়টিকে ‘স্লিপ অব টাং (মুখ ফসকে বলা) ’দাবি করেন নাছির উদ্দীন।

ফাঁস হওয়া অডিওটিতে নাছির উদ্দীনকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনকারী এক ছাত্রীকে শাসাতে শোনা যায়। এ ছাড়া সাজিদ ও আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীদের নিয়েওআপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে অডিও ফাঁসের পর গতকাল সকালে নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন,‘আমি আল-কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আবদুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি।আমার অফিসে বসেই মামলা এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এরপরও বিভাগের অন্য শিক্ষকসহ আমার আরেকজন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত কিছু শব্দচয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

অডিওটি প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাছির উদ্দীনের এমন আপত্তিকর মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতি দিয়ে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবি জানায় শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়ন। এ ছাড়া গতকাল বেলা ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনের শেষে ওই শিক্ষকের বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য প্রতিবাদ ও আন্দোলনে বাধা প্রদানকারীদের উদ্দেশ্য যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকার ও আন্দোলনের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত রাখা।

স্মারকলিপি নেওয়ার পর উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক যেন এ ধরনের বক্তব্য না দেন, তোমাদের এ ব্যাপারে নিশ্চিত করছি। আর লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ৫ দফা দাবি
  • সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
  • কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গসহ গ্রেপ্তার ৩
  • আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি, সালমান শাহ ভক্তদের মানববন্ধন
  • ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডের পোলিং এজেন্টদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত 
  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ 
  • পদ্মার চরে জোড়া খুনের ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
  • উৎসবমুখর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে নবীন বরণ
  • নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে উৎসবমুখর পরিবেশে নবীন বরণ
  • আন্দোলনকারী ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্তের দাবি