ডাকসু নির্বাচনে দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 8th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু রাখতে ও ক্যাম্পাসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডিএমপির অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হলেন ৫৯ কর্মকর্তা
মৌলভীবাজারে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
ডিএমপি কমিশনার বলেন,“ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুই হাজার ৯৬ জন পুলিশ, ডগ স্কোয়াড, সোয়াত টিম, বিশেষায়িত টিম, সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশসহ র্যাব ও বিজিবির সদস্য থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত এক সপ্তাহ ধরে নানাবিধ পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আশা করছি আগামীকাল বড় কোনো ঘটনা ঘটবে না। নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। ১০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু থাকবে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। গত ১ মাস ধরে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
মো.
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আজ রাত ৮টা থেকে ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরাও অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। আমি আমার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করেছি।”
আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “ভোটার ও অন্যান্য যে কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন। যদি অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে তাহলে তাকে যেন পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ছোট ঘটনা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেন অবহিত করা হয়। আগামীকাল নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা রাখছি।”
জাল আইডি কার্ড বানানো বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা তথ্য পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া চলমান রয়েছে।”
সাইবার বুলিয়িং বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা অত্যাধুনিক যুগ পার করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। যে বিকৃত ঘটনা আসছে, আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।”
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ম ক ল ব যবস থ ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।