ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান তারেক রহমানের
Published: 8th, September 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ গণতন্ত্রের রেললাইনে ফিরে না আসে, ততক্ষণ বিএনপির আন্দোলন চলবে। যেকোনো মূল্যে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগণের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের দ্বিতীয় শপথ হলো— ৩১ দফার আলোকে এই দেশকে পুনর্গঠন করা। সেই লক্ষ্যে জীবন বাজি রেখে কাজ করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
মালপাহাড়িয়াদের কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না: মিনু
তারেক রহমানের ৩১ দফা, টাঙ্গাইলে লিফলেট বিতরণ
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে লন্ডন থেকে ভার্চয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, “দেশে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার রাজনীতি চালু হয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে হয়েছে মেগা দুর্নীতি।”
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করার ষড়যন্ত্র চলে আসছে। তবে ইতিহাস সাক্ষী, শেষ পর্যন্ত বিজয় হয়েছে জনগণের, পরাজিত হয়েছে স্বৈরাচার।”
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সংস্কৃতি ও বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে সুস্পষ্ট নীতি ও আদর্শ ধারণ করে। তিনি বলেন, “জনগণ এখন প্রত্যাশা করে, দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। কৃষক, নারী ও যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “জনগণকে বাইরে রেখে রাজনীতি করলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হবে। জনগণ যাকে চাইবে, তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। আমরা আড়াই বছর আগে জনগণের সামনে ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছি। তাই জনগণের উপর আস্থা রাখতে হবে, সিদ্ধান্তও জনগণকেই নিতে দিতে হবে।”
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম এবং দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু।
সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হন মির্জা ফয়সল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পয়গাম আলী।
ঢাকা/হিমেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব এনপ র জনগণ র গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশ যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন মিলনের
ইমিগ্রেশনে বাধা পেয়ে বিদেশে যেতে না পেরে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা দাবি করেছেন বিএনপি নেতা এহছানুল হক মিলন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, “আমি সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন আমাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো না?”
আরো পড়ুন:
একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ
গণভোট নিয়ে ‘ক্রসরোডে’ সরকার
খালেদা জিয়ার ২০০১ সালের সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিভাগ তাকে আটকে দেয়। ফলে তিনি আর বিদেশে যেতে পারেননি। কী কারণে তাকে আটকে দেওয়া হল, এ বিষয়ে সরকারি কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
এর ব্যাখ্যা চেয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এহছানুল হক আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ১৫ বছর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলের নেতাদের বিভিন্ন সময় বিদেশে যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনাগুলো তুলে ধরেন।
বিদেশযাত্রায় বাধা পেয়ে ক্ষুব্ধ হলেও এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছেন না এহছানুল হক। তার ধারণা, কোনো ‘ভুল’ তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটকানো হয়েছে।
এহছানুল হক বলেন, “এই সরকার মহান চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকারের কোনো সংস্থা বা বিভাগ কারও ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। আমিসহ দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক, নাগরিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
সাবেক এই সংসদ সদস্য জানান, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি সচেষ্ট আছেন এবং থাকবেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে সরকারকে সহযোগিতা করতেও তিনি প্রস্তুত।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ