রাজধানীর প্রবেশমুখ ঢাকার ধামরাই উপজেলা। সংসদীয় ঢাকা-২০ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা। বিএনপি থেকে এরইমধ্যে সক্রিয় চার নেতা, প্রচারণায় আছেন জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদের নেতারাও। তবে একাধিক সম্ভব্য প্রার্থী থাকায় বিএনপিতে বাড়ছে কলহ আর নতুন মুখের প্রত্যাশায় মানুষের কাছে ছুটছেন অন্যদলগুলোর নেতারা।

১২টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে এই আসনে পাঁচবার বিএনপি, পাঁচবার আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি দুইবার বিজয়ী হয়েছে।

নিজেদের হারানো ঘাঁটি হিসেবে ধামরাইয়ে ফের বিজয়ী হতে মরিয়া বিএনপির নেতারা। এরইমধ্যে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচার চালাচ্ছেন। 

নেতারা কর্মীদের নিয়ে করছেন পথসভা, গণসংযোগ ও মতবিনিময়। যদিও নেতাদের ভাষ্য, দল যাকে মনোনয়ন দেয়, তার পক্ষেই এক যোগে কাজ করবেন সবাই।

তবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ মহাজোটের কোনো দল ও বামপন্থী কোনো দলের তৎপরতা দেখা যায়নি।

যা বলছেন বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীরা

ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। গণরায়কে শ্রদ্ধা করে। গত ১৭ বছর যে আন্দোলন করেছি, বহু শহীদ, গুম হয়েছে। লাখ লাখ মামলায় হয়রানি হতে হয়েছে। একটাই উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, নির্বাচন আদায়ে রাজপথে নামতেও প্রস্তুত। ধামরাইয়ে বিএনপির একটা বিশাল ভোটব্যাংক আছে। এখানে আমরা আশা করি, ধামরাইয়ের জনগণ বিএনপির পক্ষে সর্বোচ্চ ভোট দেবে যদি মনোনয়ন সঠিক থাকে। এবং রেশিও অনুযায়ী সেটি হবে সর্বোচ্চ ভোট।’’

মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বলেন, ‘‘১৭ বছর মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। এবার যদি সঠিকভাবে নির্বাচন হয়, মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, সেই চেষ্টা থাকবে। ধামরাইয়ের মানুষ বিএনপির পক্ষে থাকবে।’’

ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, ‘‘আমি ছোট থেকে ছাত্রদল করেছি, আমার ৩০-৩২ বছরের বেশি হয়ে গেছে এই সংগঠনের সঙ্গে। আমার রক্তে-মাংসে আত্মার সঙ্গে সংগঠনের সম্পর্ক, শহীদ জিয়ার আদর্শের সঙ্গে সম্পর্ক। ধামরাইয়ের জনগণের সঙ্গে, আন্দোলনের সঙ্গে আমি যেভাবে ছিলাম, আমি ভবিষ্যতেও থাকব। এখানে ধানের শীষের সঙ্গে থাকব। ধানের শীষ জয়যুক্ত করতে যত ধরনের কাজ করতে হয়, করব। এখানে আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কোনো মূল্য নাই। দলের আদর্শ, নেতৃত্ব মেনে রাজনীতি করি। আমি নেতৃত্ব মেনে যেভাবে সফল হয়েছি, তেমনিভাবে আমি বিশ্বাস করি, ধামরাইয়ের জনগণ যেটা সবসময় ধারণ করে, তা হলো বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে আমরা সবাই আছি।’’

ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি বলেন, ‘‘বিএনপি অধ্যুষিত ধামরাই এমনিতেই জাতীয়তাবাদের ঘাঁটি। এই অঞ্চলে অতীতেও জাতীয়তাবাদের ধারকবাহক ছিল। মানুষ ধানের শীষের প্রতি দুর্বল। দলের সমর্থন অনেক বেশি। আমরা ১৭ বছর মাঠে সরাসরি কাজ না করতে পারার পরও মাঠে আমাদের ৫ আগস্টের পর যখন এসেছি, মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফুর্ততা দেখেছি। আমরা যে কোনো অবস্থায়, যে কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জন্য শতভাগ প্রস্তুতি আমাদের দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে। দল যদি আমাকে মনোনীত করে, এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষ প্রতীক বিজয়ী হবে, ধামরাইয়ের সব মানুষ ধানের শীষের পক্ষে রায় দেবে বলে আমি মনে করি।’’

ঐক্যের আহ্বান বিএনপি কর্মীদের

যদিও একাধিক নেতার সক্রিয়তা কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে বিভক্তি। তারা ঐক্য ফেরাতে হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপও দাবি করেন। 

প্রায় তিন দশক ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মাসুদ আল শাহীন বলেন, ‘‘ধামরাইয়ে বিএনপির চারটা ধারা বিদ্যমান থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কারণে তৃণমূল বিএনপি যারা আছে, আমরা দিশেহারা। আর কোথায় যাব? কার কাছে যাব? কে আমাদের নেতৃত্ব দেবে বুঝতে পারি না। আমরা দ্বিধাবিভক্ত আছি। দলের হাইকমান্ডের কাছে দাবি থাকবে এই বিরোধ মিটিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা। তা না হলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব দেখা যাবে। এমনকি বড় কোন্দলও তৈরি হতে পারে। দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’

যুবদল কর্মী মো.

খোকন মিয়া বলেন, ‘‘বিএনপির মধ্যে বিভাজন হলে, দোষারোপ করলে দলের জন্য ক্ষতি। ঐক্যবদ্ধ না হলে অন্যরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।’’

মাঠে নেমেছেন জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি

এদিকে বিএনপি ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ধামরাইয়ে মাঠে নেমেছেন জামায়াত, এনসিপি ও এবি পার্টির সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীরা। গণসংযোগ, সভা ও প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ভোটারদের কাছে পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন তারা। আর নতুন মুখ আসায় কৌতূহলী সাধারণ ভোটাররাও খোঁজ নিচ্ছেন বিকল্প নেতৃত্বের সম্ভাবনা।

এরইমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আব্দুর রউফ, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আসাদুল ইসলাম মুকুল, গণ অধিকার পরিষদের রুবেল রানা ও এবি পার্টির লেফটেন্যান্ট কর্নেল হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকেই নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। নিজেদের নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন, জানাচ্ছেন নতুনদের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান। প্রচারের অংশ হিসেবে এরইমধ্যে জনসংযোগ, মাইকিংয়ের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। আর গণসংযোগে তুলে ধরছেন ‘পরিবর্তনের ডাক’। তারা বলছেন- মানুষ পরিবর্তন চায়, সেই সুযোগ এবার তারা কাজে লাগাতে চান।

ঢাকা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুর রউফ বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমরা আশাবাদী প্রত্যেকে আমরা যদি ঠিকমতো কাজ করতে পারি, তাহলে আমরা একটা ভালো ফলাফল পাব। এদেশের মানুষ ইসলামের পক্ষে রায় দিয়ে একটা ইসলামী সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে এগিয়ে দিবে।’’

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আসাদুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের এখন নতুন এক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হচ্ছে যার কর্ণধার জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ধামরাই উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে, গঞ্জে বাজারে হাঁটে ঘুরে বেড়াচ্ছি। প্রয়োজনীয় যে সংস্কার সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করছি। বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি, মানুষের সঙ্গে কথা বলছি, যাতে আগামী নির্বাচনের আগে হাসিনা শাসনামলের ফ্যাসিস্টের বিচার হয় ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যাপারে সকল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যাতে আমরা আদায় করতে পারি। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, আমরা চাই ধামরাইয়ের মানুষ স্বপ্ন দেখুক, আগামীতে ধামরাইয়ের মানুষ জনগণের নেতা হয়ে উঠবে এমন কাউকেই বেছে নেবে।’’

আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির লেফটেন্যান্ট কর্নেল হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘‘এবি পার্টির প্রচার গত ৪-৫ মাস ধরেই চলছে। প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমরা প্রতিদিনই প্রচার করি। আগামী কয়েক মাসও চলবে। এরপর আমরা কমিটি গঠনের দিকেও যাব। মানুষ এখন তৃতীয় একটা পথ খোঁজার জন্য অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে আছে। জনগণের কাছে যখন যাচ্ছি, নতুন নতুন মানুষ যোগ দিতে আগ্রহ জানাচ্ছে। আগামী দিনে ধামরাই থেকে ব্যাপক একটা সাড়া আশা করছি।’’

ভোটারদের কথা

তবে ধামরাইয়ের সাধারণ ভোটাররা বলছেন, নতুন মুখেরা প্রচারণায় যতই সক্রিয় হোক, শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জনই হবে মূল চ্যালেঞ্জ।

ধামরাইয়ের বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী আল মামুন বলেন, ‘‘আমরা যারা সাধারণ ভোটার আছি, আমরা দেখছি ধামরাইতে নতুন দলগুলোর তেমন ব্যাপক জনসংযোগ নেই। তবে তারা যদি ভালো প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, মানুষের কাছে আসতে পারে। তারা ভালো কিছু করতে পারবে।’’

মো. আব্দুল আওয়াল নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘‘আমরা এর আগে বিভিন্ন দলের শাসন দেখেছি, কিন্তু নতুন দলের শাসন দেখিনি। তাদের আসলে কার্যক্রমও সীমিত। আমরা চাই তারা ভালো কিছু করুক। কার্যক্রম বৃদ্ধি করুক।’’

পাঁচবার করে বিএনপি-আওয়ামী লীগ, দুইবার জাপা

প্রসঙ্গত, ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ঢাকার এই আসনে পাঁচবার বিএনপি, পাঁচবার আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি দুইবার বিজয়ী হয়েছে।

প্রথম থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ঢাকার ধামরাই উপজেলা ছিল ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত। সেই সময় ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের তাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দেওয়ান মোহাম্মদ ইদ্রিস, ১৯৮৬ সালে তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির খান মোহাম্মদ ইসরাফিল, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ, ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার বিজয়ী হন বিএনপির ব্যারিস্টার মো. জিয়াউর রহমান খান। 

২০০৮ সালে আসন বিন্যাসের পর ধামরাই হয় ঢাকা-২০ আসন। সেই বছর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমদ। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের এম এ মালেক। এরপর ২০১৯ সালের একাদশ ও ২০২৪ এর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমদ।

ঢাকা/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এরইমধ য কর ম দ র ব এনপ র জনগণ র র জন য হ ম মদ উদ দ ন র আহ ব র ব জয় নত ন ম দল র স আওয় ম গঠন র এনস প ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
  • বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
  • রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • জুলাই সনদ নিয়ে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে
  • ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে ডিসির চিঠি, এলাকাবাসীর ৫ দাবি
  • জামায়া‌তের তিন‌ দি‌নের কর্মসূচি ঘোষণা