আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে, তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী: উমামা ফাতেমা
Published: 9th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
নিয়ম ভেঙে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগ ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে
পরিস্থিতি খুবই ভালো: হামিম
এ সময় বিপুল সংখ্যক আবাসিক-অনাবাসিক ছাত্রীর উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা।
তিনি বলেন, “মেয়েরা অনেক স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিতে আসছে, এটা আসলে সত্যি আনন্দের। আমরা মনে করেছিলাম, নারী শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে অনাবাসিক নারী শিক্ষার্থীরা তাদের হয়ত ভোটার টার্নআউটটা কম হবে।”
উমামা ফাতেমা বলেন, “আমরা আশা করি যে, ভালো কিছু হবে। তবে ভোটারদের লাইনটা খুবই আস্তে আস্তে যাচ্ছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, অনেক লম্বা লাইন এখানে তৈরি হয়ে গেছে।”
তিনি আরো বলেন, “আবার পোলিং এজেন্ট সংক্রান্ত অনেক ঝামেলা হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতরে প্রচুর আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এগুলো নিয়ে আমরা আসলে উদ্বিগ্ন যে, এখানে কতটা লেভেল ফ্লেয়িং ফিল্ড আছে কতটুকু পরিমাণে, আবার সাবোট্যাজ হয় কি না, সেটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
ঢাকা/সৌরভ/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর তফসিল সোমবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।”
আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।”
ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা