আদমজী বিহারী কলোনির অস্ত্রধারী 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' নাদিম গ্রেপ্তার
Published: 11th, September 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী বিহারী কলোনির অস্ত্রধারী 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' নাদিমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ । বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সোনামিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য নাদিমকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
র্যাবের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ১৮ জুন র্যাব-১১ আদমজী বিহারী কলোনিতে মাদক ও অস্ত্রবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। ওই সময় নাদিমের তালাবদ্ধ ঘর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, দেশীয় অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ৮৪টি পুরিয়া গাঁজা, ১৭টি দেশীয় অস্ত্র, ৪টি রামদা, সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির থান কাপড়, একটি ডিজিটাল পাল্লা, ১১টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৭ হাজার ১১৩ টাকা। ওই অভিযানের সময় নাদিম পালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পারে, অভিযুক্ত নাদিমের (২২) নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। সে এলাকার একজন অস্ত্রধারী হিসেবে পরিচিত। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ব্যবহার করে সে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে ভীতি তৈরি করতো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ সন ত র স ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ