সুশীলা কার্কি হতে যাচ্ছেন নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী
Published: 12th, September 2025 GMT
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। আলোচনার সাথে সম্পর্কিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
জেন-জি বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বিক্ষোভকারীরা দেশটির পার্লামেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে। বুধবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে সেনাবাহিনী।
দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন তা নির্ধারণ করতে জেন-জি বিক্ষোভকারী, সেনাবাহিনী এবং প্রেসিডেন্টের মধ্যে বুধবার থেকেই আলোচনা শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র বালেন শাহ এবং নেপালের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করেছিলেন অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তবে বালেন শাহ তার নাম প্রত্যাহার করেছেন। পরে আলোচনায় উঠে আসে আরেক নাম- নেপালের বিদ্যুৎ সংকট সমাধানকারী প্রকৌশলী কুল মান ঘিসিং। তবে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে কারো নাম প্রকাশ করা হয়নি। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সরকার প্রধান নির্ধারণ নিয়ে খোদ জেন-জি বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেলের সঙ্গে আলোচনার পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, “সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। তারা (জেন-জি) তাকে চান। আজই এটি ঘটবে।”
আলোচনায় জড়িত জেন-জি এর একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় পাউডেলের বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর কার্কির নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে।
এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেননি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ
জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।
আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।
তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।
বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা