ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ডাকসুতে তারা জয় পেয়েছে: মোনায়েম মুন্না
Published: 12th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, “ব্যাপকভাবে কারচুপির মাধ্যমে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে তার জয় পেয়েছে। ভিসি এবং প্রক্টর জামায়াতীকরণের মাধ্যমে নির্বাচনকে কলুষিত করেছেন। এর মাধ্যমে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করা হয়েছে।”
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জে জেলা শহরের নরসুন্দা নদী পরিছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ স্বাক্ষরে আমরা প্রস্তত: সালাহউদ্দিন
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতাকে মারধরের অভিযোগ, ছাত্রদল নেতাকে শোকজ
মোনায়েম মুন্না বলেন, “৫ আগস্টের পর সারা বাংলাদেশের মানুষ ডাকসু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাকসু নির্বাচনেও তারা একই কাজ করেছে। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শেখ হাসিনাকেও তারা ছাড়িয়ে গেছেন।”
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে নরসুন্দা নদী। নাব্য হারানো নদীটি এখন কচুরিপানা ও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে শহরের বড়বাজার-নিউটাউন সড়কের ওপর নির্মিত সেতুর নিচের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ময়লার ভাগাড়ের কারণে সেতুর নিচে নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। ময়লার দুর্গন্ধে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের নাক চেপে সেতুটি পার হতে হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে সেতুর নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ চলমান রাখতে নরসুন্দা নদী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে যুবদল।
নরসুন্দা নদী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পর্কে আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের বার্তা দিচ্ছেন এবং চাচ্ছেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে এবং জনগণের পাশে থেকে তাদের নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী মানবিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এরই অংশ হিসেবে নরসুন্দা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে যুবদল।”
তিনি আরো বলেন, “এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দা নদী এখন মৃতপ্রায়। পানিপ্রবাহের বিভিন্ন জায়গা এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। সেতু সংলগ্ন অংশের পানি প্রবাহ চলমান রাখার জন্য ময়লা-আবর্জনা ও বাঁধা অপসারণের মাধ্যমে এটি উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো.
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ নরস ন দ য বদল র প রব হ
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল