ডাকসু নির্বাচনে জয়পুরহাটের মহিউদ্দিনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাস
Published: 12th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন জয়পুরহাটের কৃতী সন্তান মুহা. মহিউদ্দীন খান। তার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী ও তার সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মুহা. মহিউদ্দীন খান জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের হানাইল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মাবুদ খানের কনিষ্ঠ ছেলে। তিনি হানাইল নোমানীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে জয়ী ৭ নারী
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কবর জিয়ারতে ডাকসু জয়ী শিবির নেতারা
হানাইল গ্রামের বাসিন্দা ও হানাইল নোমানীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মহিউদ্দীন খান ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী, নম্র ও ভদ্র ছিলেন।
হানাইল নোমানীয়া কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন কোনো শিক্ষার্থী এই প্রথম ডাকসু নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়ী হয়েছেন। জয়পুরহাট জেলা থেকেও এই প্রথম কেউ ডাকসুতে নির্বাচিত হলেন কি না, তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
মুহা.
হানাইল নোমানীয়া কামিল মাদ্রাসায় মুহা. মহিউদ্দীন খানের সহপাঠী মাকছুরা আখতার মিম বলেছেন, মহিউদ্দীন ও আমি প্রথম শ্রেণি থেকে আলিম পর্যন্ত সহপাঠী ছিলাম। সে ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী, নম্র ও ভদ্র। এজিএস প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আমাদের বিশ্বাস ছিল, জিতবে সে। আমাদের হানাইল মাদ্রাসার ২০১৬ ব্যাচের একটি অনলাইন গ্রুপ আছে। আমরা মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সবাই গ্রুপে খোঁজ-খবর নিচ্ছিলাম। সহপাঠীর জন্য আমাদের মধ্যে দারুণ উত্তেজনা কাজ করছিল। আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়েছি। মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচি হওয়ায় আমরা ২০১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা গর্বিত। তার সততা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও সক্রিয় ভূমিকা তাকে এজিএস পদে বিজয়ী হতে সহায়তা করেছে বলে মনে করছি।
হানাইল গ্রামের বাসিন্দা মিলন হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত এজিএস মুহা. মহিউদ্দীন খান আমাদের গ্রামের সন্তান। আমরা তার এমন কৃতিত্বে গর্বিত।
হানাইল নোমানীয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলুল হক বলেন, মহিউদ্দীন আমার ছাত্র ছিল। সে অত্যন্ত মেধাবী। ডাকসুতে জয়ী হয়ে সে প্রমাণ করেছে যে, মফস্বলের ছাত্ররাও পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে জায়গা করে নিতে পারে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম বলেছেন, মুহা. মহিউদ্দীন খান আমাদের মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের এজিএস নির্বাচিত হয়েছে। আমরা শিক্ষকেরা সবাই তার এমন কৃতিত্বে গর্বিত। হানাইল নোমানীয়া কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন কোনো শিক্ষার্থী এই প্রথম ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এজিএস পদে বিজয়ের মুকুট অর্জন করেছেন। সম্ভবত জয়পুরহাট জেলার ইতিহাসেও প্রথম এটি।
ঢাকা/বাকী/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল