এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ধরাশায়ী হলো বাংলাদেশ। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস, শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও জাকের আলীর ব্যাটে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান করে। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪.

৪ ওভারে ১৪০ রান করে জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।

রান তাড়া করতে নেমে ১৩ রানেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কুশল মেন্ডিস (৩)। সেখান থেকে পাথুম নিসাঙ্কা ও কামিল মিশ্রার ৫২ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ে ভিত গড়ে দেন। ১০৮ রানের মাথায় নিসাঙ্কা শেখ মাহেদীর বলে আউট হন। যাওয়ার আগে ৩৪ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করে যান। এরপর ১২৩ রানের মাথায় কুসল পেরেরা আউট হন মাহেদীর বলে। ১ চারে ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

আরো পড়ুন:

বিপর্যয়ের পর লিটন-শামীম-জাকেরের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে এক পরিবর্তন

১২৬ রানের মাথাও আরও একটি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এবার মোস্তাফিজের বলে আউট হন দাসুন শানাকা (১)।

সেখান থেকে কামিল মিশ্রা ও চারিথ আসালঙ্কা দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। কামিল ৩২ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান করেন। আসালঙ্কা ১ ছক্কায় করেন অপরাজিত ১০ রান।

তার আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় সংগ্রহে কোনো রান যোগ করার আগেই সাজঘরে ফেরেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।

এরপর ১১ রানে তৃতীয়, ৩৮ রানে চতুর্থ ও ৫৩ রানেই হারিয়ে বসে পঞ্চম উইকেট। তখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ বোধহয় ১০০ রানের আগেই অলআউট হয়ে যাবে। কিন্তু না। শামীম হোসেন পাটোয়ারী, জাকের আলী ও লিটনের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৩৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায়।

একপ্রান্তে যখন উইকেটের মিছিল চলছিল, তখন অন্য প্রান্ত আগলে ব্যাটিং করছিলেন লিটন। কিন্তু দলীয় ৫৩ রানের মাথায় ২৬ বলে ৪টি চারে ২৮ রান করে আউট হন তিনি।

সেখান থেকে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ পাইয়ে দেন হৃদয় ও জাকের। যা টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। এর আগে নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে করেছিলেন ৮১ রান।

শুরুতে ধীরগতিতে খেলা জাকের আজ শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। আর হৃদয় ৩৪ বলে ২ চারে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।

বল হাতে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। নুয়ান থুশারা ও দুশমান্থে চামিরা ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ ১৭টি করে রান দিয়ে ১টি করে উইকেট নেন।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর জ ত র ন কর ছক ক য় স গ রহ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার