সাতক্ষীরা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
Published: 14th, September 2025 GMT
সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত দিয়ে ১০ বাংলাদেশি নাগরিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের হাকিমপুর চেকপোস্ট এলাকায় তারা আত্মসমর্পণ করেন।
আরো পড়ুন:
সীমান্তে মানবতা: ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ দেখলেন বাংলাদেশি স্বজনেরা
কুমিল্লায় ৫ কোটি টাকার মোবাইল ডিসপ্লেসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ
হস্তান্তর করা বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন- রাঙামাটির লংগদু থানার রসুলপুর গ্রামের সোলায়মান গাজীর মেয়ে কদবানু বেগম (৪৬), একই এলাকার ইসমাইল গাজীর ছেলে ইসরাফিল হুসাইন (১৬), সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার গোপালপুর গ্রামের হোচেন গাজীর ছেলে মো.
অন্যরা হলেন- গাজীপুরের টঙ্গী থানার দত্তপাড়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে আলী আশিক স্বাধীন (২৫), চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার বটতলা গ্রামের অমূল্য রঞ্জন দেবের ছেলে সোলান কান্তি দেব (৪৫), তার ছেলে লক্ষী দেব (৮) ও মেয়ে হারী প্রেম (৬) এবং চন্দনাইশ থানার গাছবাড়িয়া গ্রামের বিনোদ বিহারী পালের মেয়ে বেবী রানী পাল (৩৪)।
ফেরত আসা মাহফুজ ও কদবানু বেগম জানান, বিনা পাসপোর্টে তারা অনেকদিন আগে ভারতে যান। সেখানে বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সম্প্রতি পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তারা। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে তারা ভারতের হাকিমপুর বিএসএফ ক্যাম্পে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বিজিবির বরাত দিয়ে জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর বিকাশ কুমার এবং বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের তলুইগাছা বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. আবুল কাশেমের নেতৃত্বে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর ১০ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। নাম ও পরিচয় যাচাই শেষে ফেরত আসাদের শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ