সংরক্ষিত নারী পদের ৬টিতেই শিবির সমর্থিত প্রার্থীদের জয়
Published: 14th, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ছয়টি পদেই বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা।
জাকসুতে নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদগুলো হলো: সহ-সম্পাদক (এজিএস), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক এবং কার্যকরী সদস্যের তিনটি পদ।
আরো পড়ুন:
জাকসুর ২৫ পদের ২০টিতেই শিবিরের জয়
ভোট বর্জন করা ছাত্রদল ভিপি-জিএস পদে যত ভোট পেল
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা ধরে গণনা শেষে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
পদভিত্তিক ফলাফল
নারী সহ-সম্পাদক (এজিএস) পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাগছাস প্যানেলের মালিহা নামলাহ পেয়েছেন ১ হাজার ৮৩৬ ভোট।
সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) পদে গণিত বিভাগের ফারহানা লুবনা ১ হাজার ৯৭৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্যানেলের সিফাত আরা রুমকি পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭৪ ভোট।
সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক (নারী) পদে ফার্মেসি বিভাগের নিগার সুলতানা ২ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজনিন নাহার তাম্মী পেয়েছেন ১ হাজার ২১৪ ভোট।
কার্যকরী সদস্য (নারী) পদে বরাদ্দ তিনটি পদেই জয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। নুসরাত জাহান ইমা পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪ ভোট, নাবিলা বিনতে হারুন ২ হাজার ৭৫০ ভোট এবং ফাবলিহা জাহান ২ হাজার ৪৭৫ ভোট।
সংরক্ষিত ছয়টি পদে বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
উল্লেখ্য, এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের মধ্যে ২০টি পদে জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও দুটি সহ-সম্পাদক (এজিএস) পদও।
ঢাকা/আহসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ব র সমর থ ত স রক ষ ত হয় ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন