সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযান, আটক ৮
Published: 14th, September 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে সাজেদা হাসপাতাল ভবনের ভেতরে পরিচালিত রিভারভিউ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে হোটেলের এক কর্মচারীসহ আটজন নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিমরাইল মোড় ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পূজা (২০), লিজা আক্তার (২২), নূরনাহার (২০), মো.
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হোটেলটিতে অসামাজিক কার্যকলাপ চললেও ভয়ে বা বিভিন্ন কারণে কেউ সরাসরি প্রতিবাদ জানাতে সাহস পাননি। তবে পুলিশের এই অভিযানের পর স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করে আশা করছেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ হবে।
ওসি শাহীনূর আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে চিটাগাংরোড ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতাল ভবনকে আবাসিক হোটেল হিসেবে ব্যবহার করে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল একটি চক্র।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটজনকে আটক করে।
তাদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ২৯০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার নন-আইআর প্রসিকিউশন নং-১৪২ অনুযায়ী তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ