চুয়াডাঙ্গায় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের মসজিদ পাড়ার মৃত মহিউদ্দিন জোয়ার্দারের মেয়ে ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত পুলিশ সদস্য আবুল কাশেমের স্ত্রী। 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানিয়েছেন, ভাড়া বাড়ির শয়নকক্ষের তালা ভেঙে গুলশান আরা চমন নামের ষাটোর্ধ এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিন দিন আগেই মারা গেছেন গুলশান আরা চমন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে তার মৃত্যুর কারণ। 

বাড়ির মালিক রেহেনা খাতুন ও তার প্রতিবেশীরা বলেছেন, সাত বছর ধরে একাই ভাড়া বাসায় থাকতেন গুলশান আরা চমন। তিন মাস আগে স্ট্রোক করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। তাকে এও বলা হয়, আপনি একা থাকেন, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাবেন, তাতে আপনার কিছু সমস্যা হলে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারব। কিন্তু, তিনি দরজা বন্ধ করে ঘুমাতেন। সোমবার দুপুরে কাজের বুয়া রিনা ঘরের খোলা জানালায় উঁকি দিয়ে দেখতে পান যে, ঘরের মেঝেতে রক্ত এবং গন্ধ বের হচ্ছে। তখন পুলিশকে  খবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি বড় বোনকে (গুলশান আরা চমন) সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়িতে রেখে চলে গেছেন। এর পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’ শুরু হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

আরো পড়ুন:

জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব

ঢাবি উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, শিল্পাচার্য তনয় প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ড. নাসিমা হক মিতু।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিল্পের কোন সীমা নেই। এর একটি শাশ্বত ভাষা রয়েছে। এই শৈল্পিক ভাষা ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে শিল্পীরা মানুষের মনে স্থান করে নেন।”

শিক্ষার্থীদের ১ বছরের শ্রেণির কাজ থেকে বাছাইকৃত শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রয়াত ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে ৪৩ জন শিল্পীর ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য ছয়জন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন। পরে তিনি সেরা শিল্পকর্মের জন্য ছয়জনকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি।

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- প্রত্যয় সাহা (শিল্পী আনোয়ার জাহান স্মৃতি পুরস্কার), চিন্ময় ঘোষ (অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পুরস্কার), অলি মিয়া (ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার), মৃধা মো. রাইয়ান আযীম (অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মৃতি পুরস্কার), সুমিত রায় (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) এবং সুপ্রিয় কুমার ঘোষ (নিরীক্ষামূলক শ্রেষ্ঠ পুরস্কার)।

আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলবে । প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ