ভেনেজুয়েলার আরেকটি ‘মাদকবাহী’ নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩
Published: 16th, September 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ভেনেজুয়েলার আরেকটি মাদকবাহী নৌযানে হামলা চালিয়েছে। নৌযানটি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল বলে দাবি করেন তিনি। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলার সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এটি দ্বিতীয় হামলা।
ট্রাম্প জানান, হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘটেছে। তবে নৌযানটিতে মাদক ছিল—এমন কোনো প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করেননি।
সোমবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আজ সকালে আমার আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দক্ষিণ সামরিক কমান্ডের (সাউথকম) আওতাধীন এলাকায় অত্যন্ত হিংস্র মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য ও মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও লিখেন, ‘এই অত্যন্ত হিংস্র মাদক পাচারকারী চক্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, বৈদেশিক নীতি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থের জন্য হুমকি।’ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৩১টি দেশে সাউথকমের মাধ্যমে কার্যক্রম চালায়।
নিজের পোস্টের সঙ্গে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও যুক্ত করেছেন ট্রাম্প। ভিডিওটির ওপরের দিকে ‘অগোপনীয়’ (আনক্ল্যাসিফাইড) লেখা দেখা যাচ্ছিল। ভিডিওতে পানিতে থাকা একটি নৌযান বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে।
পরবর্তীতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, কার্গোতে কী ছিল, আপনাদের সেটাই দেখতে হবে… সাগরের বড় বড় ব্যাগে কোকেন ও ফেন্টানাইল ছড়িয়ে পড়েছিল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত (এআই) শনাক্তকারী যন্ত্র ব্যবহার করে ভিডিওটি প্রাথমিকভাবে যাচই করে দেখেছে। কিন্তু কিছু অংশ ঝাপসা থাকায় ভিডিওটিতে কোনো পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে, যাচই-বাছাই একটি চলমান প্রক্রিয়া। নতুন তথ্য হাতে এলে তারা ভিডিওটি আরও খতিয়ে দেখব।
নৌযানে হামলার বিষয়ে সম্পর্কে জানতে ভেনেজুয়েলার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ট্রাম্পের পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো তাঁর দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে ‘আগ্রাসন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। চলমান উত্তেজনার কারণে দেশ দুটির সরকারের মধ্যকার যোগাযোগ বর্তমানে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার একটি নৌযানে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে ভেনেজুয়েলার অন্তত ১১ জন নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। হামলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়। ওয়াশিংটনের দাবি, নিহতরা সবাই ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাংয়ের সদস্য।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র স
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলার আরেকটি ‘মাদকবাহী’ নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ভেনেজুয়েলার আরেকটি মাদকবাহী নৌযানে হামলা চালিয়েছে। নৌযানটি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল বলে দাবি করেন তিনি। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলার সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এটি দ্বিতীয় হামলা।
ট্রাম্প জানান, হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘটেছে। তবে নৌযানটিতে মাদক ছিল—এমন কোনো প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করেননি।
সোমবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আজ সকালে আমার আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দক্ষিণ সামরিক কমান্ডের (সাউথকম) আওতাধীন এলাকায় অত্যন্ত হিংস্র মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য ও মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও লিখেন, ‘এই অত্যন্ত হিংস্র মাদক পাচারকারী চক্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, বৈদেশিক নীতি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থের জন্য হুমকি।’ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৩১টি দেশে সাউথকমের মাধ্যমে কার্যক্রম চালায়।
নিজের পোস্টের সঙ্গে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও যুক্ত করেছেন ট্রাম্প। ভিডিওটির ওপরের দিকে ‘অগোপনীয়’ (আনক্ল্যাসিফাইড) লেখা দেখা যাচ্ছিল। ভিডিওতে পানিতে থাকা একটি নৌযান বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে।
পরবর্তীতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, কার্গোতে কী ছিল, আপনাদের সেটাই দেখতে হবে… সাগরের বড় বড় ব্যাগে কোকেন ও ফেন্টানাইল ছড়িয়ে পড়েছিল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত (এআই) শনাক্তকারী যন্ত্র ব্যবহার করে ভিডিওটি প্রাথমিকভাবে যাচই করে দেখেছে। কিন্তু কিছু অংশ ঝাপসা থাকায় ভিডিওটিতে কোনো পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে, যাচই-বাছাই একটি চলমান প্রক্রিয়া। নতুন তথ্য হাতে এলে তারা ভিডিওটি আরও খতিয়ে দেখব।
নৌযানে হামলার বিষয়ে সম্পর্কে জানতে ভেনেজুয়েলার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ট্রাম্পের পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো তাঁর দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে ‘আগ্রাসন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। চলমান উত্তেজনার কারণে দেশ দুটির সরকারের মধ্যকার যোগাযোগ বর্তমানে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার একটি নৌযানে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে ভেনেজুয়েলার অন্তত ১১ জন নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। হামলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়। ওয়াশিংটনের দাবি, নিহতরা সবাই ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাংয়ের সদস্য।