নিখোঁজ ইমামের মরদেহ মিলল নদীতে
Published: 16th, September 2025 GMT
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পুখুরিয়া এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া মসজিদের ইমামের মরদেহ খিড়াই নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কহিনুর মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় সাবেক পুলিশ কমিশনারের ছেলের লাশ উদ্ধার
আশুলিয়ায় বদ্ধ ঘরে ঝুলছিলেন বগুড়ার রুবেল, বিছানায় পড়ে ছিল স্ত্রী-মেয়ের লাশ
মারা যাওয়া ইমামের নাম রফিকুল ইসলাম (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার বিনা নাই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রফিকুল ইসলাম এক বছর ধরে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের বৈন্যা প্রসাদ পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত রবিবার ভোরে তিনি ফজরের নামাজ পড়ান। জোহরের নামাজের সময় থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর থেকেই স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন।
আজ সকাল ৮টার দিকে খিড়াই নদীতে রফিকুলের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বৈন্যা প্রসাদ পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি বিল্লাল উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, “আমাদের ইমাম সাহেব গত রবিবার ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। জোহরের নামাজে হাজির না হওয়ায় আমরা খোঁজ শুরু করি। আজ সকালে তার মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।”
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কোহিনূর মিয়া বলেন, “পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র র মরদ হ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।