হেলথ টেকনোলজি কোর্সে ভর্তি, অপেক্ষমাণ থেকে তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ
Published: 16th, September 2025 GMT
২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে হেলথ টেকনোলজি কোর্সগুলোতে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তৃতীয় দফার তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি), বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্সে ভর্তির লক্ষ্যে গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফল, এসএসসি ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার স্কোর যোগ করে মেধা ও পছন্দ অনুযায়ী অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তৃতীয় দফায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ১৮ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালে সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/পরিচালক কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দাখিলকৃত সনদপত্র যাচাই করবেন এবং নির্ধারিত মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। দাখিল করা সনদপত্রে কোনো ভুলত্রুটি পাওয়া গেলে কিংবা শারীরিক পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অনুপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হলে তার প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। একইভাবে ভর্তি-পরবর্তী সময়ে কোনো শিক্ষার্থীর তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার ভর্তি বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুনইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই ডিএসইউ স্কলারশিপ৩ ঘণ্টা আগেভর্তিসংক্রান্ত ফলাফল জানতে ভিজিট করুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট অথবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট –তে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ অক্টোবর থেকে দেশের সব স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ক্লাস একযোগে শুরু হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ