বরিশালে বাবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৭
Published: 16th, September 2025 GMT
বরিশালের মুলাদী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বজায়শুলী গ্রামের চাঞ্চল্যকর বাবুল বেপারীকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
‘মেয়েটার কান্না থামল, এভাবে থামবে ভাবিনি কোনোদিন’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বজায়শুলী গ্রামের মৃত গহর আলী বেপারীর ছেলে কৃষক বাবুল বেপারীকে কুপিয়ে হত্যা করেন একই গ্রামের করিম মল্লিক ও তার লোকজন। এ সময় আলীম বেপারী ও রেশমা আক্তারসহ ৭-৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন তারা।
এ ঘটনায় নিহত বাবুলের বড় ভাই আব্দুল জলিল বেপারী বাদি হয়ে থানায় করিম মল্লিকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ জনসহ ২৭ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই পুলিশ সোমবার রাতভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামি বজায়শুলী গ্রামের করিম মল্লিক, তার ছেলে রফিক মল্লিক, শফিক মল্লিক, ইয়াসিন মল্লিক, ইউনুস সরদারের ছেলে রাজ্জাক সরদার, নজরুল সরদার ও মুলাদী পৌরসভার চরডিগ্রি গ্রামের আব্দুল করিম খানকে গ্রেপ্তার করে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/পলাশ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিছিলে ধাওয়া দিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিল থেকে মশাল, ইটের টুকরাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বড়পুল মোড়সংলগ্ন বন্দর সংযোগ সড়ক থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহিম খলিল, আসিফ মাহবুব, নয়ন শীল, মো. সাগর, জাহিদুল ইসলাম, মাসুদ হাওলাদার ও মইন উদ্দিন। তাঁদের বিরুদ্ধে নগরের বন্দর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাতে বড়পুল এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই মিছিলে মশাল, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও অংশগ্রহণ করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন নগর যুবলীগের নেতা আসিফ মাহমুদ। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ধাওয়া দিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে অন্যরা পালিয়ে গেছেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জনসাধারণের ক্ষতি করার জন্য নাশকতার উদ্দেশ্যে মশাল, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে মিছিল করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে ৫টি মশাল, ১১টি ইটের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।