খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবুর বাড়িতে বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রূপসার আইচগাতী এলাকায় অবস্থিত তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবুর বাড়িতে দুর্বৃত্তরা দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেছে। পরে লোকজনে ধাওয়া দিলে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে তারা। এ ঘটনায় সম্পৃক্তদের আটকে অভিযান চলছে।

দলের নেতাকর্মীরা জানায়, স্টোকজনিত কারণে বিদেশে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সম্প্রতি রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছিলেন শেখ আবু হোসেন বাবু। বিস্ফোরণকালে তিনি স্বপরিবারে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। ৮টি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা বাবুর বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচ জন যুবক বাবুর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভেতর থেকে বোমা ও গুলির শব্দ শুনতে পান এলাকাবাসী। সেসময় স্থানীয়রা দ্রুত একত্রিত হয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

ঘটনার পরপরই রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ মাহফুজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি আলামত সংগ্রহ করেছেন। তবে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে, হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের সরকারি বেলফুলিয়া কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের নেতারা। অবিলম্বে বিস্ফোরণকারীদেও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক মো.

মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ