সিলেটের গোয়াইনঘাটে মিঠাপানির জলাবন রাতারগুল এলাকায় বস্তাবন্দী করে বিক্রির সময় ২১টি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে বন বিভাগের উদ্যোগে এসব পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে এক ব্যক্তি বস্তায় কিছু পাখি বন্দী করে রাতারগুলের চুরঙ্গি খেয়াঘাট এলাকায় বিক্রি করছিলেন। এটি দেখে রাতারগুল গ্রামের বাসিন্দা ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেটের সদস্য সোনা মিয়া বন বিভাগের স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে খবর দেন। খবর পেয়ে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই পাখি বিক্রেতা বস্তাবন্দী পাখিগুলো রেখে পালিয়ে যান। পরে পাখিগুলো উদ্ধার করে রাতারগুল এলাকার আকাশে অবমুক্ত করা হয়।

পাখি অবমুক্ত করার সময় রাতারগুল বন বিটের বিট কর্মকর্তা অনুকর চাকমা, ধরা সিলেটের সদস্য সোনা মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, অবমুক্ত করা ২১টি পাখির মধ্যে ১৫টি রাঙা চেগা আর ৬টি নিশিবক ছিল।

ধরা সিলেটের সদস্যসচিব আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘রাতারগুল গ্রামের সাধারণ মানুষ শিকারির হাত থেকে পাখি উদ্ধার করায় আমরা আশার আলো দেখছি। গ্রামে গ্রামে এভাবে দেশি ও পরিযায়ী পাখি শিকার বন্ধে সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলে পাখির ক্রেতা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের টনক নড়বে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র ত রগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ