সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব, গণশুনানিতে যাবে না ক্যাব
Published: 18th, September 2025 GMT
সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি আহ্বান করেছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে বিইআরসির বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ ছাড়া শুনানিতে অংশ নেবে না ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। দেড় মাস আগে তাঁদের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে ক্যাব।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, আইন লঙ্ঘন করে একের পর এক সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিইআরসি। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই ভোক্তা স্বার্থে বর্তমান কমিশন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। তাঁদের অপসারণ করা না হলে কোনো শুনানিতে অংশ নেবে না ক্যাব।
আগামী ৬ অক্টোবর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানিতে অংশীজনদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ১১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিইআরসি। শুনানিতে বক্তব্য দেওয়ার তালিকায় নাম দিতে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১০ আগস্ট সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এরপর একই প্রস্তাব আলাদা করে জমা দেয় ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। এতে বলা হয়, প্রতি ঘনমিটার গ্যাসে গড়ে খরচ হয় ২৮ টাকা ৭৮ পয়সা। বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ২২ টাকা ৯৩ পয়সায়। প্রতি ঘনমিটারে লোকসান হচ্ছে ৫ টাকা ৮৫ পয়সা। এতে চলতি অর্থবছরে ১২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে। সরকার ভর্তুকি বরাদ্দ রেখেছে ছয় হাজার কোটি টাকা। সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে।
সার কারখানায় বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৬ টাকা। দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দাম বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হলে প্রায় ৪ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা বাড়তি আয় হবে। তাই সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে গত ৩১ জুলাই জ্বালানি বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে ক্যাব বলেছে, শুনানি না করেই সরকারি কোম্পানির তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। যৌক্তিকতা প্রমাণ না হলেও জেট ফুয়েল বিক্রিতে পদ্মা তেল কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। বর্তমান কমিশন জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতার বৈধ ব্যবহার না করে নিজের পদের অপব্যবহার করেছে। এতে জনস্বার্থ ব্যাহত হয়েছে। আইনের একাধিক ধারায় ভোক্তা স্বার্থ ও অধিকার খর্ব করার অপরাধে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ করতে আবেদন জানায় ক্যাব।
বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিইআরসি আইন মেনেই জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। শুনানির ভিত্তিতেই প্রতি মাসে এলপিজির দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। একইভাবে সরকারি কোম্পানির এলপিজির দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিআইরসি সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে চায়। তাই শুনানিতে অংশ নিতে সবাইকেই আহ্বান জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ম ব ড় ন র প রস ত ব ব ইআরস
এছাড়াও পড়ুন:
সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব, গণশুনানিতে যাবে না ক্যাব
সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি আহ্বান করেছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে বিইআরসির বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ ছাড়া শুনানিতে অংশ নেবে না ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। দেড় মাস আগে তাঁদের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে ক্যাব।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, আইন লঙ্ঘন করে একের পর এক সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিইআরসি। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই ভোক্তা স্বার্থে বর্তমান কমিশন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। তাঁদের অপসারণ করা না হলে কোনো শুনানিতে অংশ নেবে না ক্যাব।
আগামী ৬ অক্টোবর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানিতে অংশীজনদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ১১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিইআরসি। শুনানিতে বক্তব্য দেওয়ার তালিকায় নাম দিতে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১০ আগস্ট সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এরপর একই প্রস্তাব আলাদা করে জমা দেয় ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। এতে বলা হয়, প্রতি ঘনমিটার গ্যাসে গড়ে খরচ হয় ২৮ টাকা ৭৮ পয়সা। বর্তমানে বিক্রি করা হচ্ছে ২২ টাকা ৯৩ পয়সায়। প্রতি ঘনমিটারে লোকসান হচ্ছে ৫ টাকা ৮৫ পয়সা। এতে চলতি অর্থবছরে ১২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে। সরকার ভর্তুকি বরাদ্দ রেখেছে ছয় হাজার কোটি টাকা। সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে।
সার কারখানায় বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৬ টাকা। দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দাম বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হলে প্রায় ৪ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা বাড়তি আয় হবে। তাই সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে গত ৩১ জুলাই জ্বালানি বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে ক্যাব বলেছে, শুনানি না করেই সরকারি কোম্পানির তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। যৌক্তিকতা প্রমাণ না হলেও জেট ফুয়েল বিক্রিতে পদ্মা তেল কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। বর্তমান কমিশন জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতার বৈধ ব্যবহার না করে নিজের পদের অপব্যবহার করেছে। এতে জনস্বার্থ ব্যাহত হয়েছে। আইনের একাধিক ধারায় ভোক্তা স্বার্থ ও অধিকার খর্ব করার অপরাধে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ করতে আবেদন জানায় ক্যাব।
বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিইআরসি আইন মেনেই জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। শুনানির ভিত্তিতেই প্রতি মাসে এলপিজির দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। একইভাবে সরকারি কোম্পানির এলপিজির দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিআইরসি সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে চায়। তাই শুনানিতে অংশ নিতে সবাইকেই আহ্বান জানানো হয়েছে।