হাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু
Published: 23rd, October 2025 GMT
৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩১০ জন প্রতিনিধির অংশগ্রহণে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন:
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাবাকে বাঁচাতে চান হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপদেষ্টা
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বলেন, “একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি এ ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে। তোমাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম অনেক সহযোগী হবে। বিশেষ করে পড়াশুনা শেষে চাকরি জীবনে তোমরা এর সুফল পাবে।”
তিনি বলেন, “তোমাদের অনেকের একাডেমিক ফলাফল ভালো। কিন্তু একটা জবের জন্য যে স্কিল প্রয়োজন, সেটা হয়তো তোমার নেই। সেক্ষেত্রে এ ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজগুলো কাজে আসবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে তিনি আরো বলেন, “তোমরাই সেই প্রজন্ম, যারা গত বছর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছ। দেশটা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছিল, তোমরা সেটাকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছ। নিজের জীবনের কথা না ভেবে তোমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও দেশের সার্বভৌমত্বের কথা ভেবেছ। এজন্য আমরা তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ।”
ঢাকা/সাকিব/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরিচয় শনাক্তে তোলা হচ্ছে ১১৪ জুলাই শহীদের লাশ
পরিচয় শনাক্ত করতে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের লাশ তোলা হচ্ছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উত্তোলন শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আরো পড়ুন:
এনজিওর ৬০০ কোটি টাকা প্রতারণা, সিআইডির অভিযানে তনু গ্রেপ্তার
১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেন, “আনাসের মতো যারা বুকের রক্ত ঢেলে দেশের জন্য রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।”
তিনি আরো বলেন, “এই কবরস্থানে যারা নাম-পরিচয়হীন অবস্থায় শুয়ে আছেন, তাদের পরিচয় তখন যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তাদের পরিচয় উদঘাটন করা জাতির প্রতি আমাদের একটি দায়িত্ব। আজ সেই মহান কাজের সূচনা হলো।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার (ওএইচসিএইচআর) মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি গত ৪০ বছরে ৬৫টি দেশে এ ধরনের অপারেশন পরিচালনা করেছেন বলে বাসসের খবরে বলা হয়।
সিআইডি’র প্রধান বলেন, “লাশ শনাক্তের জন্য এরইমধ্যে ১০ জন আবেদন করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে শহীদের সংখ্যা ১১৪ জনের বেশি। প্রকৃত সংখ্যা লাশ উত্তোলনের পর জানা যাবে।”
তিনি আরো বলেন, “সব লাশের পোস্টমর্টেম করা হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে ধর্মীয় সম্মান বজায় রেখে পুনঃদাফন করা হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিচয় শনাক্ত হলে, পরিবার চাইলে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, “ডিএনএ সংগ্রহের পর, যে কেউ আবেদন করলে সহজেই শনাক্ত করা যাবে। সিআইডির হটলাইন নম্বরগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে, যাতে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন।”
এ সময় ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের (ইউএনএইচআর) সহযোগিতায় আগত আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার বলেন, “আমি গত তিন মাস ধরে সিআইডির সঙ্গে কাজ করছি। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।”
ঢাকা/ইভা