সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল–ফাওজান। দেশটির যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমান তাঁকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। গতকাল বুধবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি বাদশাহর দেওয়া আনুষ্ঠানিক এক আদেশে বলা হয়, গ্র্যান্ড মুফতির পাশাপাশি সালেহ আল–ফাওজান দেশটির সিনিয়র স্কলারস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। স্কলারি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতার স্থায়ী কমিটির প্রধান হিসেবে নেতৃত্বও দেবেন তিনি।

সোদি আরবে গ্র্যান্ড মুফতি মন্ত্রী পদমর্যাদার। গত ২৩ সেপ্টেম্বর গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল–শেখের মৃত্যুর পর সালেহ আল–ফাওজানকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। আবদুল আজিজ আল–শেখকে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ ফাহাদ গ্র্যান্ড মুফতি নিয়োগ দিয়েছিলেন।

শেখ সালেহ আল-ফাওজান ১৯৩৫ সালে সৌদি আরবের আল–কাসিম প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। এই প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর বুরাইদাহ থেকে স্কুল পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। পরে রিয়াদের কলেজ অব শরিয়াহ থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল ডিগ্রি নেন।

পড়াশোনা শেষে শেখ সালেহ আল-ফাওজানকে সৌদি আরবের হায়ার ইনস্টিটিউট অব জুডিশিয়ারির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে তিনি স্কলারি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতার স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।

সালেহ আল-ফাওজান বেশ কয়েকটি বইয়েরও লেখক। এ ছাড়া তিনি রেডিও অনুষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ছিল জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘নূর আলা আল-দারব’।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আরব র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যস্থতা থেকে সরে যেতে পারেন ট্রাম্প’

ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বন্ধের মধ্যস্থতা থেকে সরে যেতে পারেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ পুত্র ট্রাম্প জুনিয়র রবিবার মধ্যপ্রাচ্যের এক সম্মেলনে এ কথা বলেছেন।

ইউক্রেনে অব্যাহত যুদ্ধের উদ্দেশ্যের সমালোচনা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র বলেছেন, ইউক্রেনের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ধনীরা যাদেরকে কৃষক শ্রেণি বলে মনে করত’ তাদেরকে যুদ্ধের মধ্যে ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

ট্রাম্প জুনিয়রের তার বাবার প্রশাসনে কোনো আনুষ্ঠানিক ভূমিকা নেই। তবে তিনি ম্যাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন) আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার হস্তক্ষেপ ট্রাম্প দলের ভেতরের কিছু লোকের মধ্যে ইউক্রেনীয় সরকারের প্রতি বিদ্বেষের প্রতিফলন ঘটায় এবং ট্রাম্পের আলোচনাকারী দল কিয়েভকে রুশ দখলকৃত অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।

ট্রাম্প জুনিয়র জানিয়েছেন,  ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন, কারণ তিনি জানতেন যে এটি শেষ হলে তিনি কখনও নির্বাচনে জিততে পারবেন না। জেলেনস্কি বামপন্থীদের সীমান্তবর্তী দেবতা। এরপরেও ইউক্রেন রাশিয়ার চেয়ে অনেক বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের পুত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাজা ক্যালাসের সমালোচনা করে বলেছেন, ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞাগুলো কাজ করছে না। কারণ তারা কেবল তেলের দাম বাড়িয়েছে, যা থেকে রাশিয়া তার যুদ্ধের খরচ বহন করতে পারে। তিনি ইউরোপীয় পরিকল্পনাটিকে বলেছেন-‘আমরা রাশিয়ার দেউলিয়া হওয়ার জন্য অপেক্ষা করব। তবে এটি কোনো পরিকল্পনা নয়।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ