৩১দফা জনগনের কাছে বিএনপির একটি অঙ্গীকার : সাখাওয়াত
Published: 23rd, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ৩১দফা হলো জনগনের কাছে বিএনপির একটি অঙ্গীকার। ধানের শীষ মার্কায় কেন জনগণ ভোট দিবে সেটা জনগণের সামনে ৩১ দফার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই ৩১দফা হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং শ্রমিক, কৃষক, ব্যবসায়ী,নারী, শিশু অধিকার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কিভাবে রাষ্ট্রনির্ধারণ করবে সেই বক্তব্য গুলোই বিএনপি জনগণের সামনে তুলে ধরেছে।
আমরা এই অঙ্গীকারের মাধ্যমে জনগণকে আশ্বস্ত করতে চায় আগামী নির্বাচনে যদি আপনারা বিএনপিকে ধানের শীষে ভোট দেন আর আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে আমরা ৩১অথবা বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা অন্তর্গত ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর ) বিকেল চারটায় শহরের মাসদাইর বাজার এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন আমরা চাই মাসদাইরসহ পুরো নারায়ণগঞ্জে শান্তি। বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে বলতে চাই আপনাদেরকে সহনশীল হতে হবে। আপনাদেরকে জনবান্ধব হতে হবে। মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কর্মকান্ডে আপনাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
যদি জনগণের ক্ষতি এমন কোন কর্মকান্ড আপনারা করেন তাহলে দলের বদনাম হবে ধানের শীষের বদনাম হবে। সুতরাং দলের বদনাম হয় এমন কোন কাজে আপনারা অংশগ্রহণ করবেন না। আমরা কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে প্রশ্ন দিব না।
আমরা আমাদের নেতাকর্মীদেরকে সাবধান করে দিতে চাই এ সকল বিষয় যাদের বিরুদ্ধে থাকবে তাদের দল করার কোন অধিকার থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন ৫ ই আগস্ট এর পর থেকে কিন্তু সারা বাংলাদেশে সাড়ে ছয় হাজারের অধিক বড় বড় বিএনপির নেতা কর্মীদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং সমাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কারন আমরা চাই নারায়ণগঞ্জের শান্তি। বিএনপির কোন নেতা কর্মীর হাতে যেন এই এলাকার কোন মানুষের প্রতি সাধন না হয়। যদি বিএনপি করতেই হয় তাহলে আমাদেরকে সুনাগরিক হতে হবে। আগে আমাদেরকে ভালো হতে হবে তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরা জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারবো।
পরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
মহানগর ১৩নং এড. শেখ আঞ্জুম আহম্মেদ রিফাতের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাশিদা জামাল, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, সদর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ সেলিম আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হারুন শেখসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স জনগণ র ম দ রক আপন র উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা আমাদের আসন ও টাকা অফার করেছিল: নুরুল হক নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা আমাদের আসন অফার করেছিল, টাকা অফার করেছিল। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস করিনি। আমরা ২-৪টি আসনের জন্য কারো সঙ্গে জোট করব না। যদি দেশের প্রয়োজনে জোট করি, তা ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতে হবে।’’
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে দলীয় প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিতে স্থানীয় গণঅধিকার পরিষদ এই জনসভার আয়োজন করে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দলের প্রার্থী হয়েছেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন তার কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণা করার কথা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু ও আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় যদি কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয় নির্বাচন পেছানোর, সেটি হয়তো নির্বাচন কমিশন এবং সরকার বিবেচনা করবে। অন্যথায় ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক আর এপ্রিলে হোক, নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। আর দেশের প্রয়োজনে যদি কোনো জোট করে, তাহলে যেসব জায়গায় জনসমর্থন আছে, সেসব আসনকে নিশ্চিত করেই আমাদের জোট হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখতে পাই, কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতোই হুমকি-ধমকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি দেশব্যাপী কায়েম করতে চান। তদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যেই চুরমার হয়ে গেছে। জনগণের প্রতিবাদে নেতারা সীমান্ত দিয়ে, হেলিকপ্টার দিয়ে, নদী-নালা ও খাল-বিল দিয়ে যে যেভাবে পেরেছেন পালিয়ে গেছেন। কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের পরিণতিও তা-ই হবে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন সব রাজনৈতিক দলকে সংযত এবং সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানাই।’’
ঢাকা/পলাশ/রাজীব