রাজশাহীর ফুটপাত-সড়ক দখলে, টিকতে পারছেন না মূল ব্যবসায়ীরা
Published: 2nd, November 2025 GMT
রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের মসজিদের নিচে ছিল প্রায় ৪৯ বছরের পুরোনো গেঞ্জির দোকান ‘বাবুল স্টোর’। বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল ওরফে বাবুলের মালিকানার দোকানটি গত ১ অক্টোবর বন্ধ হয়ে গেছে।
বাবুল জানান, আগে দোকানটিতে গেঞ্জি, মোজা পাইকারি বিক্রি করতেন, পরে খুচরা শুরু করেন। এখন ফুটপাতেই এসবের কাঁড়ি কাঁড়ি দোকান গজিয়েছে। ফলে ফুটপাত মাড়িয়ে মানুষ আর দোকানে ঢুকতে চান না। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দোকানটি ভাড়া দিয়েছেন।
রাজশাহীর অসংখ্য ব্যবসায়ীই এখন একই সমস্যায় পড়েছেন। ফুটপাতের দোকানদারদের ভাড়া, ভ্যাট বা ট্যাক্স কিছুই দিতে হয় না। ফলে মূল ব্যবসায়ীরা বড় বিনিয়োগ করেও টিকতে পারছেন না।
রাজশাহী নগরের মূল ব্যবসাকেন্দ্র বলা হয় সাহেব বাজার এলাকাটিকে। সম্প্রতি দেখা যায়, এ বাজারের দুই পাশের ফুটপাতের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা এখন রাস্তাও দখল করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এসব দোকানের কারণে চলাচলের রাস্তাটি সরু হয়ে পড়েছে। এতে সেখানে দিনরাত যানজট লেগে থাকছে। পথচারীরা ফুটপাত ব্যবহারের কোনো সুযোগ পান না বললেই চলে। ফুল-ফল, তালা–চাবি, লুঙ্গি, গামছা থেকে শুরু করে—এমন কোনো জিনিস নেই, যা এসব ফুটপাতের ব্যবসায়ীর কাছে পাওয়া যায় না।
সাহেব বাজারের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনের ফুটপাত দিয়েও হাঁটার মতো পরিস্থিতি নেই। হাসপাতালের সামনের ফুটপাত দখল হয়ে গেছে দোকান আর হোটেলে। দক্ষিণ পাশে অন্তত নয়টি ভাতের হোটেল দিনরাত খোলা থাকে। রাস্তাতেই রুটি সেঁকা হয়। উত্তর পাশেও দোকানপাট নেমে এসেছে সড়কে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, অভিযান চালিয়ে ফুটপাত খালি করা হলেও পরদিনই আবার দোকান বসে যায়। ফলে সেখানে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই, আর যানজটে রোগী আনা-নেওয়াও হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য।
এভাবে রাস্তা-ফুটপাতের ওপর দোকান বসানোর জন্য কাউকে কোনো ভাড়া বা চাঁদা দিতে হয় কি না, তা জানতে চাওয়া হয় দক্ষিণ পাশের এক ভাতের হোটেলের মালিকের কাছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, এই দোকান চালানোর জন্য কাউকে কোনো পয়সা দিতে হয় না। কেউ কেউ নিজেই জায়গার দখল নিয়েছেন। কেউ আবার দোকান চালাচ্ছেন আরেকজনের দখল করা জায়গার ওপর।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফুটপাত ও রাস্তার ওপরে বসানো হয়েছে খাবার হোটেল। সম্প্রতি নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় র র ফ টপ ত ল র স মন ফ টপ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ২২ বোতল মাদকসহ যুবক আটক
খুলনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২২ বোতল বিশেষ ধরনের মাদকসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) কেএমপির মিডিয়া সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিডিয়া সেল প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালিশপুর থানাধীন নুরনগর মেইন রোড সংলগ্ন জনৈক আকবর মুন্সির বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. আবুল কালাম সরদারের (৩৫) ঘরের খাটের নিচ থেকে ২২ বোতল কোডিন ফসফেট যুক্ত উইন কোরেক্স উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মো. আবুল কালাম সরদারকে আটক করা হয়। সে বরিশালের নলছিটি উপজেলার ভাঙ্গা দেওলা গ্রামের মৃত আমির আলী সরদারের পুত্র।
কেএমপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সহকারী পুলিশ কমিশনার খোন্দকার হোসেন আহম্মেদ বলেন, “আটককৃত আবুল কালাম সরদার নগরীর নুরনগর মেইন রোড এলাকার মো. আকবর মুন্সির বাড়িতে ভাড়াটিয়া থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ খুলনা মহানগর এলাকায় মাদকদ্রব্য কোডিন ফসফেট যুক্ত উইন কোরেক্স ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস