দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমন চাষিদের মুখে এখন গভীর দুশ্চিন্তার ছাপ। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে মাঠে থাকা তাদের পাকা সোনালী ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। ঘাম ঝরানো ফসলের এ অবস্থা দেখে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।

কৃষকরা জানান, এ বছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে সেই ফসল এখন নষ্ট হওয়ার উপক্রম। বিশেষ করে নিচু জমির ধান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি দ্রুত রোদ না ওঠে, তাহলে কেটে রাখা সামান্য পরিমাণ ধান শুকানো সম্ভব হবে না। ভেজা অবস্থায় ঘরে তুলতে গেলে ধান পচে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে। 

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজিরবিহীন বৃষ্টি, ৪৪৫৯ হেক্টর ফসল ক্ষতির মুখে

তেঁতুলিয়ায় ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, মিলেছে শীতের আভাস

জেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে হাকিমপুর উপজেলার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “ধান কাটার কাজ শুরু হতেই এমন আবহাওয়া। বাতাসে ধান পড়ে গেছে মাটিতে, জমিতে পানি জমেছে। ফলে ধান কেটে ঘরে তোলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। রোদ নেই, যে কারণে যতটুকু ধান কাটতে পেরেছি তা শুকানো সম্ভব হচ্চে না।”

বিরামপুর উপজেলার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, “যদি দ্রুত রোদ না ওঠে, তাহলে কাটা ধান শুকানো সম্ভব হবে না। ভেজা অবস্থায় ধান ঘরে তুলতে গেলে পচে যাবে। সবদিক দিয়েই ক্ষতি হচ্ছে।”

নবাবগঞ্জ উপজেলার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “মৌসুমের ধান বিক্রি করেই আমরা পরিবারের খরচ চালাই, ঋণ পরিশোধ করি। এবারের আবহাওয়ায় সব আশা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, “গত কয়েকদিন বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু এলাকায় আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করছেন। তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন যাতে কৃষকরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র ক আমন ধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ২২ বোতল মাদকসহ যুবক আটক

খুলনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ২২ বোতল বিশেষ ধরনের মাদকসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। 

রবিবার (২ নভেম্বর) কেএমপির মিডিয়া সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মিডিয়া সেল প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালিশপুর থানাধীন নুরনগর মেইন রোড সংলগ্ন জনৈক আকবর মুন্সির বাড়িতে অভিযান চালায়। 

এসময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. আবুল কালাম সরদারের (৩৫) ঘরের খাটের নিচ থেকে ২২ বোতল কোডিন ফসফেট যুক্ত উইন কোরেক্স উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মো. আবুল কালাম সরদারকে আটক করা হয়। সে বরিশালের নলছিটি উপজেলার ভাঙ্গা দেওলা গ্রামের মৃত আমির আলী সরদারের পুত্র। 

কেএমপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সহকারী পুলিশ কমিশনার খোন্দকার হোসেন আহম্মেদ বলেন, “আটককৃত আবুল কালাম সরদার নগরীর নুরনগর মেইন রোড এলাকার মো. আকবর মুন্সির বাড়িতে ভাড়াটিয়া থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ খুলনা মহানগর এলাকায় মাদকদ্রব্য কোডিন ফসফেট যুক্ত উইন কোরেক্স ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ