ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের

বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খন্দকার আলমগীর কবির বলেন, বর্তমানে কাঁচাপাট রপ্তানী বন্ধ থাকায় কাঁচাপাট ব্যবসায়ী রপ্তানীকারকরা সঙ্কটে রয়েছেন।

অনেক কাঁচাপাট ব্যবসায়ি ঋনে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। ২ মাসে আমরা এক বেলও কাঁচাপাট রপ্তানী করতে পারি নাই। শ্রমিকদেরকে বসিয়ে বসিয়ে মজুরী দিতে হচ্ছে।

রপ্তানী বন্ধ থাকায় হাজার হাজার ব্যবসায়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা শীঘ্রই উপদেষ্টা মহোদয় ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধতনদের সঙ্গে কথা বলবো। আগামী ১০ দিনের মধ্যে রপ্তানী বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। 

রোববার দুপুরে  সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে বিজেএ’র ৫৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিকে অভ্যর্থনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো: ফরহাদ আহমেদ আকন্দ। 

এসময় দায়িত্ব বুঝে নেন নবনির্বাচিত কমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার আলমগীর কবির, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম. সাইফুল ইসলাম পিয়াস, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তারেক আফজাল, কমিটির কার্যকরী সদস্য মোঃ ফাহাদ আহমেদ আকন্দ, শামীম আহমেদ, এস,এম মনিরুম্জ্জামান (পলাশ), খাইরুজ্জামান, মোঃ কুতুবউদ্দিন, শেখ ঈমাম হোসেন, এস.এম হাফিজুর রহমান, জনাব বদরুল আলম (মার্কিন), এইচ এম প্রিন্স মাহমুদ,  মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ নূর ইসলাম, মোঃ আলমগীর খান, রঞ্জন কুমার দাস ও এস.এম সাইফুল ইসলাম।

সভায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কাঁচাপাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানীকারকরা উপস্থিতিতে বিগত অর্থ বছরের চূড়ান্ত নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন ও সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। 

এছাড়াও বিজেএ’র পূর্বতন কার্যনির্বাহী কমিটির ২ বছরের কার্যক্রম উপস্থাপন, অডিনারী ও এসোসিয়েট গ্রুপের নতুন সদস্যপদ উপস্থাপনসহ অর্থ বছরের সমাপ্ত হিসাব নিরীক্ষা করার জন্য অডিটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ