চাঁদপুর শহর পুনর্বাসন প্রকল্পে ধীরগতি, ব্লক নিয়ে ভোগান্তি
Published: 2nd, November 2025 GMT
প্রমত্তা মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে চলছে। এরমধ্যে যত্রতত্র ব্লক ফেলে রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নদী পাড় এলাকায় বসবাসকারীরা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সমস্যা সমাধানে অচিরেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে এবং প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভাঙনরোধে ১৯৭২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরের নতুনবাজার এলাকায় ১৭৩০ মিটার শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯-২০১০ সালে আরো ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরান বাজার এলাকার ১৬৩০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকেই বদলাতে থাকে ভাঙনের চিত্র। তবে দীর্ঘ দিন সংস্কার কাজ না হওয়ায় প্রায় প্রতি বর্ষায় ভাঙন দেখা দিত বাঁধে। বিশেষ করে ২০১৯ সাল থেকে বাড়তে থাকে ভাঙনের তীব্রতা। তবে নতুন করে আবারো বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার লঞ্চঘাট থেকে পুরানবাজার রনগোয়াল এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩৩৬০ মিটার এলাকায় এই শহর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৮২৭ কোটি টাকা। প্রকল্পে প্রায় ২৩ লাখ বিভিন্ন সাইজের ব্লক, ১০ লাখের অধিক জিওব্যাগ ও ২৯ হাজার মিটার জিও পাইপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ শেষ হয়ে এখন চলছে পাথরের তৈরি ব্লক ডাম্পিং করা।
এদিকে, যত্রতত্র ব্লক ফেলায় স্থানীয়দের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নদীতে গোসলসহ যাবতীয় কাজ করতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। এজন্য ডিজাইন প্লানে পরিবর্তন এনে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষের দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
তিনি আরো বলেন, “২০২৪-এর মে মাসে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৭ সালের জুন মাসে। দ্রুতই পুরোদমে কাজ শুরু হবে। আশা করছি যথাসময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।”
ঢাকা/জয়/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র শ ষ কর
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ৫ থেকে ১৩ নভেম্বর ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করতে রবিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরো পড়ুন:
ফখরুলের কণ্ঠ নকল, সতর্ক করল বিএনপি
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
কর্মসূচিআর মধ্যে রয়েছে, ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ দিন সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে ৭ নভেম্বর সকাল ১০ টায় দলের জাতীয় নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩ টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালী হবে। ঐ দিন সারা দেশে বিএনপির উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র্যালি হবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়া শ্রমিক দল-৫ নভেম্বর-আলোচনা সভা, ছাত্রদল-৮ নভেম্বর-আলোচনা সভা (৭ ও ৮ নভেম্বর টিএসসি-তে আলোকচিত্র প্রদর্শনী), ওলামা দল-৯ নভেম্বর-এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, তাঁতী দল-১০ নভেম্বর-আলোচনা সভা, কৃষকদল-১১ নভেম্বর-আলোচনা সভা, জাসাস-১৩ নভেম্বর-শহীদ মিনারে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে ১২ নভেম্বর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা, ৬ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডকুমেন্টরি (ভিডিও, স্থিরচিত্র) ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়াসহ ফেসবুক, ইউটিউব, অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পোষ্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
সভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এবং কেন্দ্রীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি