পরিবেশবান্ধব ‘গ্রিন বিল্ডিং’ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি: পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 2nd, November 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন,“সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। শুধু রঙ বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ হবে না—পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ—সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।”
রবিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত গ্রিন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশ
দেশের সর্ববৃহৎ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এখন ওয়ালটনে
তিনি বলেন, “টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়তে সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনায় মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।”
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য। তিনি ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রস্তাব করেন—গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের। এ কাউন্সিল গ্রিন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ উপদ ষ ট পর ব শ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নগ্নতা, প্লাস্টিক সার্জারি থেকে বিজ্ঞাপন, বারবার বিতর্কে সিডনি
সিডনি সুইনি মানেই যেন আলোচনা। কখনো তাঁর পর্দার নগ্ন দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক হয়, কখনো আবার জিনসের বিজ্ঞাপন করে সমালোচনার মুখে পড়েন। নতুন সিনেমা ‘ক্রিস্টি’র প্রচার উপলক্ষে চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটিকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেত্রী। কথা বলেছেন নিজের ক্যারিয়ারসহ নানা প্রসঙ্গে।
মন সময় গেছে যখন সপ্তাহে ৫ থেকে ১০টি অডিশন দিতাম, একটা থেকেও ডাক পেতাম না। তবে আপনার যদি বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি থাকে, ব্যর্থতায় ভয় পাবেন না। তাই আমি হাল না ছেড়ে চেষ্টা চালিয়ে গেছি।সিডনি সুইনি‘ইউফোরিয়া’ দিয়ে আলোচনায়
প্রায় এক যুগের ক্যারিয়ার হলেও সিডনি সুইনি আলোচনায় এসেছেন বছর পাঁচেক হলো। এইচবিওর সিরিজ ‘ইউফোরিয়া’ তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে দেয়। একই প্ল্যাটফর্মের আরেক সিরিজ ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ তাঁর পরিচিতি আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে সিরিজে অভিনীত চরিত্র, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবি, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে করা মন্তব্য নিয়ে বরাবরই সমালোচনা ও বিদ্রূপের শিকার হন ২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী। ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিডনি জানিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার ও জীবন নিয়ে নতুন উপলব্ধির কথা। সিডনি জানান, বিনোদন দুনিয়া নিয়ে এখন তাঁর ধারণা আগের চেয়ে অনেক পরিষ্কার। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের শক্তির জায়গা খুঁজে পেয়েছি। প্রতিদিন যা করি, তা থেকে শেখার চেষ্টা করি, মাথা খাটাই। এভাবে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।’
জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সাফল্যের হাতিয়ার, এই প্রচলিত প্রবাদের গুরুত্বও ভালোভাবেই বুঝেছেন সিডনি, ‘জ্ঞানই আসল শক্তি। এটা বোঝার পর নিজেকে অনেক স্বাধীন আর আত্মবিশ্বাসী মনে হয়। এ জন্য আমি “ইউফোরিয়া”র চরিত্রটিকে কৃতিত্ব দেব। চরিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে আমার ভাবনায় বদল এসেছে।’
‘ইউফোরিয়া’ সিরিজে সিডনি সুইনি। এইচবিও