সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে কৃষকদের ফসল রক্ষায় দেওয়া খুঁটি উপড়ে ফেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একটি দল। বিষয়টি দেখে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ জানান। দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা একটি স্পিডবোটে সীমান্ত এলাকা ছেড়ে যান।

আজ রোববার সকালে জকিগঞ্জের মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বিএসএফের চারজন সদস্য নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় কয়েকজন বাংলাদেশি এগিয়ে গিয়ে তাঁদের কাছে জানতে চান, তাঁরা কার নির্দেশে বাংলাদেশে ঢুকে কৃষকদের খুঁটি উপড়েছেন। স্থানীয় লোকজন স্থানটিকে বাংলাদেশের অংশ ও ভারতের সীমানা অন্য পাশে বলে জানান। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে থাকলে বিএসএফ সদস্যদের একটি স্পিডবোটে উঠে চলে যেতে দেখা যায়।

স্থানীয় মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো.

আব্দুশ শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকে তিনিও ভিডিওটি দেখেছেন। স্থানটি সীমান্ত এলাকা। সুরমা নদীর এক পাশে ভারত, অন্য পাশে জকিগঞ্জের রসুলপুর।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অংশে ঢুকেছিলেন। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে চলে যান। খবর পেয়ে বিজিবি তাঁদের ডেকে এনে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশের ঘটনায় প্রতিবাদ জানায়। আবার যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক