বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
Published: 2nd, November 2025 GMT
ফেনীতে ট্রাকচাপায় এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ফেনী শহরের রামপুর এলাকার সৈয়দবাড়ি-তাকিয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম মোহাম্মদ জিসান (৫)। সে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দরবার শরীফ ইউনিয়নের চরকালিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে। আলমগীর পরিবার নিয়ে ফেনী শহরের রামপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা দেড়টার দিকে শহরের রামপুর এলাকার সৈয়দবাড়ি-তাকিয়া সড়কের পাশের একটি বস্তি ঘর থেকে শিশু জিসান সবার অগচরে বেরিয়ে সড়কে উঠে পড়ে। এ সময় ওই সড়কের চলাচলরত পণ্যবাহী একটি ট্রাক জিসানকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে জিসানের বাবা ও স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত জিসানকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জিসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুর বাবা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে জিসান ছোট। জিসানের মা দুপুরে অন্য স্থানে গেলে তিনি ও জিসান ঘরের মধ্যে ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি টয়লেটে গেলে জিসান তাঁকে খোঁজ করে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। মুহূর্তেই ওই সড়কে চলাচলরত একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত শিশুর মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায়জড়িত ট্রাক ও চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।