জামালপুর শহরে ইজিবাইকের লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও পাঁচ দফা দাবিতে আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ধর্মঘট এবং বেলা দুইটার পর একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান ও প্রধান সড়ক অবরোধ করেন ইজিবাইকের চালক ও মালিকেরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন শহরের শিক্ষার্থী, কর্মজীবীসহ সাধারণ মানুষ।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ইজিবাইকের লাইসেন্স ফি ৫০০ টাকা বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক দিন লাল ও এক দিন সবুজ ইজিবাইক চলাচল করবে। এর প্রতিবাদে আজ সকাল ছয়টায় ধর্মঘট শুরু করেন চালক ও মালিকেরা।

লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও পাঁচ দফা দাবিতে বেলা দুইটার দিকে শহরের গেটপাড় থেকে আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল বের করেন। তাঁরা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনকারীদের একটি অংশ কার্যালয়ের সামনের প্রধান সড়কে বসে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা তিনটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সরিয়ে দেন। পরে তাঁরা সড়কের পাশে অবস্থান নেন। এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌরসভার প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রশাসন বৈঠকে বসে। সে সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আবারও আন্দোলনকারীরা কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে তাঁদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ায় বিকেল চারটার দিকে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তাঁরা।

এর আগে শহরে ইজিবাইকের লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘটে নামেন চালক ও মালিকেরা। আজ সকাল ছয়টায় এই কর্মসূচি শুরু হয়ে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলে।

কয়েকজন চালক বলেন, তাঁদের সব দাবিদাওয়া মেনে নিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তাই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। সবাইকে যাঁর যাঁর গন্তব্যে যেতে বলা হয়েছে এবং ইজিবাইক চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী খানম প্রথম আলোকে বলেন, চালক ও মালিকদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়েছিল। তাঁদের দাবিগুলো শোনা হয়েছে। লাইসেন্স ফি বাবদ টাকা কমানো হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেগুলো চালক ও মালিক প্রতিনিধি মেনে নিয়েছেন। তাই তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ লক ও ম ল ক অবস থ ন প রসভ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ