ইলন মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ধনীর অবস্থান ধরে রাখলেন
Published: 2nd, November 2025 GMT
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনীর আসন ধরে রেখেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। চলতি মাসের ১ তারিখ ফোর্বস ম্যাগাজিন বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনীর তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে ইলন মাস্কই শীর্ষে রয়েছেন।
এদিকে ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ফোবর্সের প্রতিবেদনে। কারণ আগামী ৬ নভেম্বর ইলন মাস্ককে কোম্পানির অতিরিক্ত এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের শেয়ার দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ভোট হবে। সেই ভোটের প্রস্তাব পাস না হলে ইলন মাস্ক কোম্পানি ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন টেসলার চেয়ারম্যান রবিন ডেনহলম।
প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক টেসলা, স্পেসএক্স, এক্স (সাবেক টুইটার) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআইয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি টেসলার ১২ শতাংশ শেয়ারের মালিক। শেয়ারের মালিকানা ছাড়াও কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি বিপুল পরিমাণ বেতনও পান।
গত ১ নভেম্বর ইলন মাস্কের মোট সম্পদমূল্য ছিল ৪৯৭ বিলিয়ন বা ৪৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। গত ১ অক্টোবর তাঁর সম্পদমূল্য ছিল এর চেয়ে ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার কম। কিছুদিন আগে বিশ্বের প্রথম ধনী হিসেবে তাঁর সম্পদমূল্য ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার বা এক লাখ কোটি ডলারের মালিক হবেন।
ফোবর্সের করা নভেম্বরের ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। কিছুদিন আগে তিনি অবশ্য ইলন মাস্ককে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন। ফোবর্সের হিসাবে, গত ১ নভেম্বর তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ৩২০ বিলিয়ন বা ৩২ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু গত মাসের তুলনায় তাঁর সম্পদমূল্য ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার কমেছে।
ফোবর্সের নভেম্বরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে অ্যামাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। এ সময় তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ২৫৪ বিলিয়ন বা ২৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। গত মাসের একই সময়ের তুলনায় তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
সম্প্রতি মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ আশার কথা শুনিয়েছেন জেফ বেজোস। তাঁর মতে, প্রযুক্তির অগ্রগতিতে পৃথিবী ধ্বংসের পথে নয়; বরং নতুন সম্ভাবনা বা ‘সভ্যতার প্রাচুর্যের’ যুগে প্রবেশ করছে। শুধু তা–ই নয়, আগামী দুই দশকের মধ্যে কোটি মানুষ মহাকাশে বসবাস করবেন। সম্প্রতি ইতালিতে আয়োজিত ‘ইতালিয়ান টেক উইক ২০২৫’–এ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ফোবর্সের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে গুগলের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। এখন তাঁর সম্পদমূল্য ২৩২ বিলিয়ন বা ২৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার। গত মাসের তুলনায় তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলার।
তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গত ১ নভেম্বর তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ২২৩ বিলিয়ন বা ২২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। গত মাসের একই সময়ের তুলনায় তাঁর সম্পদমূল্য কমেছে ২৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। সম্প্রতি মার্ক জাকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে ‘বছরের সেরা উদ্ভাবকের’ পুরস্কার দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
ফোবর্সের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছেন গুগলের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্জেই ব্রিন। তাঁর সম্পদমূল্য ২১৫ বিলিয়ন বা ২১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। গত মাসের তুলনায় তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ২৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সপ্তম স্থানে আছেন বিলাসদ্রব্য এলভিএমএইচের সহপ্রতিষ্ঠাতা বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর মোট সম্পদ মূল্য ১৮৩ বিলিয়ন বা ১৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। গত মাসের তুলনায় তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
অষ্টম স্থানে আছেন সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি এনভিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা জেনসেন হুয়াং। গত ১ নভেম্বর তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ১৭৬ বিলিয়ন বা ১৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। গত মাসের একই সময়ের তুলনায় ১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বেশি।
তালিকায় নবম স্থানে আছেন মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমার। তাঁর সম্পদমূল্য ১৫৬ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। ৬৯ বছর বয়সী এই ধনকুবেরের সম্পদমূল্য গত মাসের একই সময়ের তুলনায় অপরির্তিত আছে। দশম স্থানে আছেন ডেল টেকনোলজিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেল। তাঁর মোট সম্পদমূল্য ১৫৫ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। তাঁর সম্পদমূল্য গত মাসের তুলনায় ১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ কোটি বেড়েছে।
ধনীদের সম্পদমূল্য মূলত শেয়ারবাজারের ওপর নির্ভর করে। শেয়ারের দাম বাড়লে বা কমলে সম্পদমূল্যেরও হ্রাস–বৃদ্ধি হয়। এ ছাড়া ধনীদের সম্পদ ওঠানামার সঙ্গে প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক সাফল্যের সরাসরি সম্পর্ক আছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ হালচাল থেকে প্রমাণিত হয়, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সম্পদ সৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে। যাঁদের হাতে প্রযুক্তি, তাঁরাই তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট