জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ পাওয়া সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘোষিত কমিটিতে তাঁর নাম থাকায় মামলার বাদী ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর স্বাক্ষরে এনসিপি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

৩৭ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে কর্ণফুলীর ইমরান হোসেন যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে স্থান পান। তিনি কর্ণফুলী থানার জাফর হত্যা এবং একটি চেক প্রতারণার মামলায় গত ১৩ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিন পান।

নিহত জাফরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ফকির মসজিদের সামনে জাফর আহমদকে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ইমরান হোসেনকে প্রধান আসামি করে জাফরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ইমরানসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ছয়-সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

এর বাইরে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চেক প্রতারণার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ইমরান হোসেন কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

নিহত জাফরের পুত্র মোহাম্মদ আবছার বলেন, ‘আমার বাবার হত্যার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।’

মোহাম্মদ আবছার আরও বলেন, ‘নানা সময়ে ইমরান আমাদের হুমকি দিতেন। এখন কমিটিতে স্থান পেয়ে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। এটা আমার বাবার হত্যার ন্যায়বিচার পেতে বাধা হতে পারে।’

তবে এ ব্যাপারে এনসিপি নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন ষড়যন্ত্র করে ওই মামলায় আসামি করে আমাদের পুরো পরিবার উচ্ছেদ করে দেয়। ১২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের কারণে বাড়িঘরে থাকতে পারিনি। বাড়িঘর দখল করে ফেললেও এখনো দখলে নিতে পারিনি। এমনকি আমার এক মামা মারা গেলে তাঁকে কবরও দিতে পারিনি।’

ইমরান আরও বলেন, ‘ওই হত্যা মামলায় ২ নম্বর আসামি একজন বিএনপি নেতা, আমার মাকে ৩ নম্বর এবং আমার এক ভাইকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

এ ব্যাপারে জানতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সুজা উদ্দিনকে ফোন করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ কম ট ত এনস প ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটিতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ পাওয়া সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘোষিত কমিটিতে তাঁর নাম থাকায় মামলার বাদী ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর স্বাক্ষরে এনসিপি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

৩৭ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে কর্ণফুলীর ইমরান হোসেন যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে স্থান পান। তিনি কর্ণফুলী থানার জাফর হত্যা এবং একটি চেক প্রতারণার মামলায় গত ১৩ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি জামিন পান।

নিহত জাফরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ফকির মসজিদের সামনে জাফর আহমদকে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ইমরান হোসেনকে প্রধান আসামি করে জাফরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ইমরানসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ছয়-সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

এর বাইরে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চেক প্রতারণার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ইমরান হোসেন কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

নিহত জাফরের পুত্র মোহাম্মদ আবছার বলেন, ‘আমার বাবার হত্যার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।’

মোহাম্মদ আবছার আরও বলেন, ‘নানা সময়ে ইমরান আমাদের হুমকি দিতেন। এখন কমিটিতে স্থান পেয়ে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। এটা আমার বাবার হত্যার ন্যায়বিচার পেতে বাধা হতে পারে।’

তবে এ ব্যাপারে এনসিপি নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন ষড়যন্ত্র করে ওই মামলায় আসামি করে আমাদের পুরো পরিবার উচ্ছেদ করে দেয়। ১২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের কারণে বাড়িঘরে থাকতে পারিনি। বাড়িঘর দখল করে ফেললেও এখনো দখলে নিতে পারিনি। এমনকি আমার এক মামা মারা গেলে তাঁকে কবরও দিতে পারিনি।’

ইমরান আরও বলেন, ‘ওই হত্যা মামলায় ২ নম্বর আসামি একজন বিএনপি নেতা, আমার মাকে ৩ নম্বর এবং আমার এক ভাইকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

এ ব্যাপারে জানতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সুজা উদ্দিনকে ফোন করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ