কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী উপন্যাস ‘মায়ার সিংহাসন’। কথাসাহিত্যিক আবদুল্লাহ আল মুক্তাদির রচিত এই অনন্য গ্রন্থটি প্রকাশ করছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনী।

প্রকাশনা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ নভেম্বর পাঠকদের হাতে পৌঁছাবে বইটি। এতে শুধু রুনা লায়লার সংগীতজীবনের ইতিহাস নয়, উঠে এসেছে এক শিল্পীর আত্মঅন্বেষণ, সময়ের রূপান্তর, সুরের গভীরতা ও এক নারীর শিল্পযাত্রার অনন্ত আবেগ। 

আরো পড়ুন:

মাটি সরে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, ঝুঁকিতে ৩০ হাজার মানুষের চলাচল

সাঁকো বিড়ম্বনার ৪০ বছর 

লেখক আবদুল্লাহ আল মুক্তাদির বলেন, “রুনা লায়লার কণ্ঠে যখনই গান শুনেছি, মনে হয়েছে সময় থেমে গেছে— চারপাশে শুধু সুর, মায়া আর স্মৃতির তরঙ্গ। সেই অনুভব থেকেই জন্ম নিয়েছে ‘মায়ার সিংহাসন’। এটি কেবল জীবনী নয়, বরং এক ‘গীতি-উপন্যাস’, যেখানে সুর, শব্দ ও মানবমনের অন্তর্লোক মিলেমিশে তৈরি করেছে এক অদ্ভুত সুরভ্রমণ।” 

উপন্যাসে লেখক শব্দ দিয়ে ছুঁয়ে দেখেছেন সুরের অমোঘ রহস্য, তুলে ধরেছেন রুনা লায়লার গানে লুকিয়ে থাকা প্রেম, একাকিত্ব, আকাশছোঁয়া সাফল্য ও সময়ের আবেশময় রং। 

চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনের কর্ণধার জানান, “মায়ার সিংহাসন’ বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারা যোগ করবে। এটি এমন এক শিল্পিত উপন্যাস, যেখানে সংগীতই হয়ে উঠেছে মূল চরিত্র। বইটি রুনা লায়লার সংগীতজীবনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই নয়, বরং তার সুরের মায়াজালকে সাহিত্যের পরতে পরতে ধারণ করেছে।” 

এদিকে, বাংলা সংগীতজগতের এই প্রথিতযশা শিল্পী রুনা লায়লা গত বছর পূর্ণ করেছেন দীর্ঘ ৬০ বছরের সংগীতযাত্রা। এ উপলক্ষে সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন মাছরাঙা টিভিতে প্রচার হয় বিশেষ পর্ব। অনুষ্ঠানে রুনা লায়লা শেয়ার করেন তার জীবনের নানা গল্প, অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি। ভারত ও পাকিস্তানের প্রখ্যাত শিল্পী–সুরকাররাও তুলে ধরেন তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। পাশাপাশি দর্শক দেখতে পান তার ব্যক্তিগত অ্যালবামের কিছু দুর্লভ ছবি, প্রিয় গান ও সহশিল্পীদের স্মৃতিচারণ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপন য স প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ