মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় জয়মন্টপ উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে মারধরের প্রতিবাদে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জয়মন্টপ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন ছিল। ওই দিন সকালে স্থানীয় জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হাবিবুল আলমসহ একদল যুবক ওই বিদ্যালয়ে যান। এ সময় শিক্ষকপ্রতিনিধি প্রার্থী করম আলীর পক্ষে সমর্থন আদায়ে ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল রোমানের কাছ থেকে স্বাক্ষর চান তাঁরা। তবে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে জয়মন্টপ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যায়। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকপ্রতিনিধি প্রার্থী মো.

করম আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল আলম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিদুর রহমান বলেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে মারধর করার মতো জঘন্য ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।

সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যায়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

সিঙ্গাইরে শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় জয়মন্টপ উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে মারধরের প্রতিবাদে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জয়মন্টপ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন ছিল। ওই দিন সকালে স্থানীয় জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হাবিবুল আলমসহ একদল যুবক ওই বিদ্যালয়ে যান। এ সময় শিক্ষকপ্রতিনিধি প্রার্থী করম আলীর পক্ষে সমর্থন আদায়ে ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল রোমানের কাছ থেকে স্বাক্ষর চান তাঁরা। তবে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে জয়মন্টপ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যায়। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকপ্রতিনিধি প্রার্থী মো. করম আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল আলম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিদুর রহমান বলেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে মারধর করার মতো জঘন্য ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।

সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যায়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ