জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপি ভেতরে–ভেতরে আবার ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে। যে কারণে ফ্যাসিজমের যে রাস্তা, আমরা সংস্কারে বন্ধ করতে চেয়েছিলাম, এগুলো ওনারা বন্ধ করতে দিচ্ছে না।’

আজ রোববার বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশে (আইডিইবি) এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন। ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা।

সেমিনারে মোহাম্মদ তাহের বলেন, সংস্কার প্রস্তাবে ছিল, প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান একজন হতে পারবেন না। সেখানে বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। প্রস্তাবে ছিল, কোনো ব্যক্তি একাধারে তাঁর জীবদ্দশায় ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এগুলো যদি সংশোধন হয়, তাহলে স্বৈরাচারী চরিত্র ও স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগ থাকে না। এটার বিরোধিতা করা মানে তাদের আবারও স্বৈরাচার হওয়ার একটা চিন্তাভাবনা মাথায় আছে।

নতুন করে যারা ফ্যাসিস্ট হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের পরিণতিও বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের চেয়ে ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, পুরোনো ফ্যাসিস্ট যদি আবার আসতে চায়, আবার লড়াই করে তাদের পরাজিত করা হবে।

কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সমঝোতা করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে পুরো প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তা ও ধোঁয়াশার মধ্যে পড়বে এবং জাতি অন্ধকারের দিকে চলে যাবে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘কারও চাপে আপনি মাথা নত করবেন না। কারণ, চাপে যদি আপনি হেরে যান, মহাবিপদ।’ তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। প্রথম দুটি করলেই তৃতীয়টি আসবে।

জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আবদুল মান্নান। আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ত হ র হওয় র আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ