জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনিক, আর্থিক ও অবকাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে উপাচার্য বরাবর ২০ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।

রবিবার (২ নভেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বরাবর এক স্মারকলিপিতে এসব দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

আরো পড়ুন:

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে সমাবেশ

ইউটিএলের দাবি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা আয়োজন, শিক্ষকদের নিয়মিত ও সময়মতো পদোন্নতি, শিক্ষক সংকট নিরসনে দ্রুত নতুন শিক্ষক নিয়োগ, এবং শিক্ষক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যবিমা স্কিম চালু করার দাবি জানানো হয়।

এছাড়া তারা শিক্ষকদের বই ভাতা বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মচারীর জন্য সরকারি কর্মচারীদের মতো আর্থিক সুবিধা, উচ্চতর গবেষণাকে উৎসাহিত করতে এমফিল ও পিএইচডি ফেলোশিপ চালু, উন্নত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শীতাতপ ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক জিমনেসিয়াম প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে, শিক্ষকদের ক্লাব ও অতিথি শিক্ষাবিদদের জন্য রেস্ট হাউস নির্মাণ, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে ফটোকপি মেশিন স্থাপনসহ ক্যাম্পাস-সংক্রান্ত বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

এ বিষয়ে ইউটিএলের জবি শাখার আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.

আবু লায়েক বলেন, “গত ২৬ অক্টোবর ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের (ইউটিএল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের কমিটি ঘোষণার পর আমরা প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। সেই অনুযায়ী আজ প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ২০টি দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন আমাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।”

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউটিএলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, জবি চ্যাপ্টারের সদস্য সচিব ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান সাদী প্রমুখ।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ