জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের আয়োজনে আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ‘টেকসই বিশ্বের পথে অগ্রযাত্রা: জীববিজ্ঞান ও ভূবিজ্ঞানের ভূমিকা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁদের গবেষণাকর্ম উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাণিবিজ্ঞান, সামুদ্রিক সম্পদ ও ব্লু ইকোনমি; প্রাণরসায়ন, জিনোমিকস ও বায়োইনফরমেটিকস; পরিবর্তনশীল বিশ্বে মানব আচরণের গতিশীলতা; জিন প্রকৌশল ও উদীয়মান প্রযুক্তি; টেকসই উন্নয়নের ভূ-স্থানিক দিক হিসেবে জলবায়ু, নগরায়ণ ও পরিবেশ; মাইক্রোবায়োম ও জনস্বাস্থ্য; ফার্মাসিউটিক্যাল বিজ্ঞান, ওষুধ পর্যবেক্ষণ ও আধুনিক ওষুধ উদ্ভাবন এবং খাদ্যনিরাপত্তা ও টেকসই পরিবেশের জন্য উদ্ভিদভিত্তিক সমাধান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন দুই ধাপে সম্পন্ন করা যাবে। প্রথম ধাপে ১ থেকে ৭ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এক হাজার টাকায়, পেশাদার ব্যক্তিরা ২ হাজার ৫০০ টাকায়, করপোরেট পেশাদাররা ২ হাজার ৫০০ টাকায়, সহযোগীরা ২ হাজার টাকায় এবং বিদেশি অংশগ্রহণকারীরা ২০০ মার্কিন ডলারে। দ্বিতীয় ধাপে ৮ থেকে ১৫ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা, পেশাদারদের জন্য ৩ হাজার টাকা, করপোরেট পেশাদারদের জন্য ৪ হাজার টাকা, সহযোগীদের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং বিদেশিদের জন্য ২৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা https://iclessd.

jnu.ac.bd/portal/registration লিংক থেকে অনলাইনে অথবা সরাসরি সম্মেলন ভেন্যুতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।

এই সম্মেলনের আয়োজক কমিটিতে রয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন, মল্লিক আকরাম হোসেন, কাজী শাখাওয়াত হোসেন, সামসাদ আফরিন ও রফিকুল ইসলাম।

সম্মেলনে কি–নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইন্দোনেশিয়ার বাকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের আরডি আরডিয়ানসাহ। তিনি কমিউনিটি সার্ভিস ইনস্টিটিউটের (এলপিকেএম) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া থাকবেন মালয়েশিয়ার মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ তারিকুর রহমান। সম্মেলনে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও ভারতের গবেষক ও উদ্ভাবকেরাও অংশ নেবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন মল্লিক আকরাম হোসেন প্রথম আলোকে জানান, ‘আইসিএলইএসএসডি-২০২৫’ শীর্ষক এই প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মূল লক্ষ্য, টেকসই বিশ্ব গড়ার পথে জীববিজ্ঞান ও ভূবিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরা। তিনি উল্লেখ করেন, এই সম্মেলন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিজ্ঞানীদের মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা রাখবে, যেখানে মনস্তাত্ত্বিক চাপ, ভৌগোলিক পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কৌশলসংবলিত গবেষণা উপস্থাপন করা হবে।

আকরাম হোসেন আরও বলেন, প্রাণিবিজ্ঞান, জিন প্রকৌশল, জিনোমিকস, ফার্মাসিউটিক্যাল বিজ্ঞান, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্যনিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী গবেষণা বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্মেলন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশ-বিদেশের বহু বিজ্ঞানী ও একাডেমিক বিশেষজ্ঞ তাঁদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের গবেষণাকাজ মৌখিক ও পোস্টার উপস্থাপনের মাধ্যমে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র জন য প রথম ট কসই

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ