মানুষ কত অদ্ভুত অদ্ভুত কাণ্ড করেই না বিশ্ব রেকর্ড গড়ে। কেউ লাফিয়ে, কেউ খেয়ে, আবার কেউ ঘুমিয়ে। ডেভিড রাশকে অবশ্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের রাজা বলা যায়। তিনি তিন শতাধিক বিশ্ব রেকর্ডের মালিক, তাঁর চেয়ে বেশি আর কারও নেই।
এই ডেভিড রাশ এবার ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি শসা ভেঙে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে ৩০ সেকেন্ডে ৫০টি শসা ভাঙার রেকর্ড ছিল।
ডেভিড রাশ গত বছর স্পেন ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান এল ওর্মিগুয়েররোতে অংশ নেন। স্পেনের মালাগায় তিনি ক্যামেরার সামনে নতুন এই রেকর্ড গড়েন।
নতুন রেকর্ড গড়ার পর ডেভিড রাশ বলেন, তিনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (এসটিইএম) শিক্ষার প্রচারের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন এবং নতুন রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি যত রেকর্ড গড়েছেন, সবই বিজ্ঞানভিত্তিক এবং সারা জীবন তিনি এসটিইএম শিক্ষার গুরুত্ব প্রচার করতে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করেন এবং এ চেষ্টা করে যাবেন।
রাশ আরও বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের এবং যাঁরা এই অনুষ্ঠান দেখছেন, তাঁদের দেখাতে চাই, এসটিইএম শিক্ষাও হতে পারে উত্তেজনাপূর্ণ, হাতে-কলমে এবং কখনো কখনো একটু উন্মাদের মতো। হোক সেটা রোবট তৈরি করা, সেন্সর ডিজাইন করা কিংবা হ্যাঁ, এটা হতে পারে বিশ্ব রেকর্ডের গতিতে শসা ভাঙা। এসবই সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের সঙ্গে যুক্ত।’
ডেভিড রাশ একজন লেখক, বক্তা এবং প্রযুক্তিশিল্পের অভিজ্ঞ ব্যক্তি। তিনি এমআইটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেছেন। তাঁর এমবিএ ডিগ্রি আছে। তিনি কেটিভিবির ইনোভেটিভ এডুকেটর এবং এলএ উইকলির শীর্ষ ১০ বক্তার একজন। তিনি আইডাহোর বিজনেস রিভিউর অ্যাকমপ্লিশড আন্ডার ৪০ পুরস্কারপ্রাপ্ত। তাঁর বয়স ৩৮ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডেভিড রাশ ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর এই রেকর্ড গড়েছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ ব র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের তিয়ানগং স্টেশনে যাবেন পাকিস্তানি মহাকাশচারী
পাকিস্তান থেকে একজন মহাকাশচারী শিগগিরই চীনের মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক অভিযাত্রী হতে যাচ্ছেন। চীন স্বল্প সময়ের সফরের জন্য পাকিস্তানি মহাকাশচারীদের নির্বাচনের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে জানা গেছে। চীনের ম্যানড স্পেস এজেন্সির মুখপাত্র ঝাং জিংবো জানান, দুজন নির্বাচিত পাকিস্তানি মহাকাশচারী চীনা মহাকাশচারীদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে পেলোড বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি স্বল্প সময়ের অভিযানে পাঠানো হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীন ও পাকিস্তান তিয়ানগংয়ে মহাকাশচারী পাঠানোর বিষয়ে একটি সহযোগিতা চুক্তি হয়। ঝাংয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে পাকিস্তানে প্রাথমিক মহাকাশচারী নির্বাচনপর্ব চলছে। চূড়ান্ত নির্বাচন চীনে সম্পন্ন হবে। ক্রুদের দৈনন্দিন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নভোচারীরা পাকিস্তানের জন্য বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালাবেন।
ধারণা করা হচ্ছে, লংমার্চ–২এফ রকেটে করে গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্পেসপোর্ট থেকে উৎক্ষেপিত শেনঝো মহাকাশযানের তিনজনের নভোচারীর মধ্যে একজন হতে পারেন। শেনঝো–২১ ক্রুড মিশনের উৎক্ষেপণের সময় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, শেনঝো ২২ বা শেনঝো ২৩ মিশনে পাকিস্তানি নভোচারী মহাকাশে যাবেন। সেখানে তিনি কয়েক দিন অবস্থান করবেন।
২০২২ সালের শেষের দিকে চালু হয় চীনে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশন। চীন আগামী এক দশক ধরে এই মহাকাশ স্টেশনকে সচল রাখতে নানা ধরনের পরীক্ষা চালাচ্ছে। পাকিস্তান ২০৩০ দশকে চীনের আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা স্টেশনের অংশীদার। এর আগে পাকিস্তান ১৯৬২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল। অন্যদিকে ২০২৫ সালে ভারত নভোচারী শুভাংশু শুক্লাকে মহাকাশে প্রেরণ করেছিল। ১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মা সাবেক সোভিয়েত মহাকাশ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে যান।
সূত্র: স্পেস ডটকম