হাওরপারে নরম আলোয় হেমন্তের এক সকাল
Published: 12th, November 2025 GMT
হালকা কুয়াশা ঝরছে হেমন্তের পথে পথে, ধানের খেতে। গ্রামগুলো কুয়াশায় মুড়ি দিয়ে নিঝুম শুয়ে আছে তখনো। হঠাৎ এক-দুজন নারী ও পুরুষ পথে বেরিয়েছেন। এক-দুটি মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা গ্রামীণ পাকা সড়ক ধরে কোথাও ছুটছে। পথের পাশের ঝোপে-ঝাড়ে, ঘাসের পাতায় তখন সারা রাতের ঝরা কুয়াশায় জমে উঠেছে বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা। সূর্য তখনো জেগে ওঠেনি, নরম আলো হেমন্তের কুয়াশাকে নরম আদরে জড়িয়ে আছে।
মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরপারে হেমন্তের এই সকাল তখন এ রকমই নিঃশব্দ, কোলাহলহীন। এই নৈঃশব্দের ভেতর কোথাও নীরবতা ভেঙে পথে, ঘাসে ও মাটিতে গাছ থেকে পাতা ঝরছে। হাওরের বুকে অনেক দূর পর্যন্ত অথই জলে কুয়াশা ছড়ানো, মৃদু কুয়াশার চাদর ঝুলছে। জল হাওরের দিকে অনেকটা নিচে নেমে গেছে। মাছ ধরার নৌকাগুলো পাড় থেকে অনেক দূরে দূরে এসে ভিড়ছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট, একাটুনা-নতুন ব্রিজ সড়ক ধরে যাওয়ার পথে একটা জায়গায় এসে হাওরের দিকে একটি গ্রামীণ পাকা সড়ক চলে গেছে। শনিবার ভোরে সেই সড়ক ধরে কাউয়াদীঘি হাওরের পথে যেতে যেতে কেবলই হেমন্ত ছড়িয়ে ছিল সবুজ ঘাসে, ঝরাপাতায়, ধানের খেতে।
হাওরপারের কাদিপুরে পৌঁছার আগেই কিছুটা কুয়াশা কেটে গেছে। একটু একটু করে পুব আকাশের গ্রামের ওপর দিয়ে সূর্যের উদয় ঘটছে, আলো বাড়ছে। হেমন্তের সকালের নরম রোদ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। হাওরের বুকে ঝিলমিল করে উঠেছে সকালের রোদ। একঝাঁক সাদা বকপাখি হাওর ও হাওরপারের গ্রামের ওপর দিয়ে উড়ে চলছে অন্য কোথাও। হাওরের মাঠের দিকে উড়ে আসছে একঝাঁক শামুকখোল পাখি।
হেমন্তের সকালে অনেকে গরু-বাছুর নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন পথে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ মন ত র হ ওরপ র হ ওর র
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীত
পঞ্চগড়ে দিন দিন কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের অনুভূতি। ভোরবেলা ও গভীর রাতে হালকা কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে শীতের আগমনী বার্তা পাচ্ছেন সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, মঙ্গলবার এখানে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থানের কারণে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পঞ্চগড়ে আগে শীত নামে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এখনই ভোরের দিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ। সূর্যের দেখা মিলছে দেরিতে। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেল গড়াতেই আবারো বাড়ছে শীতের অনুভূতি। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের পোশাকে এসেছে পরিবর্তন। সন্ধ্যা নামলেই অনেকে শীতের পোষাক পরা শুরু করেছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। নভেম্বরের শেষ দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরপর ডিসেম্বর মাসজুড়ে পঞ্চগড় ও আশপাশের এলাকায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
ঢাকা/নাঈম/এস