একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কত টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন
Published: 12th, November 2025 GMT
গত কয়েক বছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা ফেরত না দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। কিছু ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। অনেক গ্রাহককে ব্যাংকে টাকা রেখে তা ফেরত পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
ব্যাংক খাতের এমন দুরবস্থার মধ্যে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ। আসল তো পাবেনই, মুনাফার নিশ্চয়তাও আছে।
তাই বিনিয়োগের জন্য মধ্যবিত্তের অন্যতম পছন্দ সঞ্চয়পত্র। এ বিনিয়োগে মুনাফার হারও বেশি। এমন চিন্তা থেকে অনেকেই সঞ্চয়পত্র কেনেন।
বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চার ধরনের সঞ্চয় আছে। এগুলো হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া বাকি সব সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগ করতে পারে।
এবার দেখা যাক, একজন ব্যক্তি কোন সঞ্চয়পত্রে কত বিনিয়োগ করতে পারেন।
সর্বোচ্চ কত টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবেসর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নারীরাই কিনতে পারবেন। তবে যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ এবং ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ আছে।
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। এটিই একক নামে সর্বোচ্চ বিনিয়োগসীমা। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান কিনতে পারবেন।
অন্যদিকে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
তিন অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার কেনা যাবে।
সব মিলিয়ে আপনি যদি একটি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। আর ১০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পরিবার সঞ্চয়পত্র আছে।
১০ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র আছে। আর তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মূল্যমান ১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা।
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ও ডাকঘর থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো যায়।
মুনাফা কতপরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ করা হয়েছে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে, অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফা ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সবচেয়ে বেশি।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সাড়ে সাত লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এ ছাড়া তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ। সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফা কমে যায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র না ভাঙাই ভালো।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ত ল খ ট ক র কম ব ন য় গ ম ন ফ র হ র ১১ দশম ক চ বছর ম য় দ ব ন য় গ কর প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
সন্তকবি রবিদাসের ‘বেগমপুরা’ শহর
সন্ত রবিদাস (রইদাস, রবিদাসজি) পঞ্চদশ থেকে ষোড়শ শতকের এক মহান ভারতীয় সাধক, কবি ও সমাজসংস্কারক। উত্তর ভারতের ভক্তি আন্দোলনের তিনি অন্যতম পুরোধা। তাঁর অনুসারীরা রবিদাসিয়া নামে পরিচিত। তাঁর কাব্য ও শিক্ষা বর্ণভেদপ্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং এক ঈশ্বরপ্রেমমূলক, সমতাভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন দেখায়। পাঞ্জাবি, হিন্দি ও ব্রজ ভাষায় রচিত তাঁর বহু পদ ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা তাকে শিখধর্মের মধ্যেও বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।
সন্ত রবিদাসজির জন্ম ১৪৫০ সালের আশপাশে (কিছু মতে ১৩৭৭/১৩৮৮) বর্তমান উত্তর প্রদেশের বারানসি (কাশী) শহরের কাছে সীর গোবর্ধনপুর গ্রামে এক চর্মকার পরিবারে। তাঁর পিতা সন্তোক দাস ও মাতা কলসী দেবী ছিলেন সমাজে নিম্নবর্ণভুক্ত। পিতার পেশা ছিল চর্মশিল্প। রবিদাস ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিক ভাবধারায় আকৃষ্ট হন। সংসারধর্মে অত আগ্রহ ছিল না তাঁর।
সন্ত রবিদাস (রইদাস, রবিদাসজি) পঞ্চদশ থেকে ষোড়শ শতকের এক মহান ভারতীয় সাধক, কবি ও সমাজসংস্কারক। উত্তর ভারতের ভক্তি আন্দোলনের তিনি অন্যতম পুরোধা। তাঁর অনুসারীরা রবিদাসিয়া নামে পরিচিত।রবিদাস ছিলেন ভক্তিযুগের অন্যতম প্রাণপুরুষ। তাঁর উপাসনা ছিল ‘নির্গুণ ভক্তি’। কোনো মূর্তিতে নয়, বরং হৃদয়ের মধ্যেই ঈশ্বরের অনুভব ছিল তাঁর আরাধ্য। তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘মন চাঙ্গা তো কাঠৌরি মে গঙ্গা’। অর্থাৎ, মন পবিত্র হলে, কাঠের পাত্রেও গঙ্গার পবিত্রতা বিরাজ করে। তিনি চেয়েছেন জাত-পাতের ভেদ ভুলে, সবাই যেন এক প্রভুর সন্তান হয়ে থাকে। তাঁর একটি বিখ্যাত কাব্যপঙ্ক্তি :
‘রবিদাস জন্ম কে কারণে হোতি নাহি কওি নীচ।
নারি ভুজন কর দ্বারায়ে সোই দেব সম তাচ।’
অর্থাৎ, রবিদাস বলে—জন্মের কারণে কেউ নীচ হয় না। নীচ করে তো মানুষের কর্ম, কর্মেরই কাদা তাকে ডোবায়। যে নারীকে সম্মান করে, তাকে দেবতার মতো জ্ঞান করো।
রবিদাস ছিলেন সমাজে প্রচলিত বর্ণবৈষম্যের কঠোর সমালোচক। নিজে চর্মকার হয়েও তিনি সমাজে ‘ভক্তি’র মাধ্যমে মর্যাদা অর্জন করেন। তিনি বলতেন, একজন নিম্নবর্ণভুক্ত মানুষও যদি পরম ভক্ত হন, তবে তিনি ব্রাহ্মণের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
‘বেগমপুরা’ তাঁর সবচেয়ে সাড়াজাগানো কবিতা। ‘বেগমপুরা’ হলো রবিদাসের স্বপ্নের শহর, মার্ক্সেরও আগের সাম্যবাদ, ফরাসি বিপ্লবেরও আগের সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতার মেনিফেস্টো। রাষ্ট্রহীন, শ্রেণিহীন, বর্ণহীন—সব অসাম্যমুক্ত এক কল্পনগর।
রবিদাসজির এই বিখ্যাত ইউটোপিয়া আজও প্রাসঙ্গিক, আজও প্রণোদনা-জাগানিয়া, যেখানে নেই কোনো কষ্ট, জাতবিভেদ, শোষণ বা যন্ত্রণা। তিনি কল্পনা করেছিলেন এক বর্ণহীন ও শ্রেণিহীন সমাজের, যেখানে সবাই সমান, সবাই মুক্ত।
‘বেগমপুরা শহর কো নাঁও।
দুখ অন্ধোহ নাহি তহি ঠাঁও।।’
রবিদাস হিন্দি, ব্রজ ও পাঞ্জাবি মিশ্রিত ভাষায় পদ রচনা করেন। তাঁর কাব্যে ছিল সরলতা, ঈশ্বরপ্রেম ও মানবসমতার বার্তা। তাঁর প্রায় ৪০টি রচনা ‘শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাঁর পদাবলিতে আত্মবোধ, ভক্তিরাগ, সমাজসচেতনতা ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার সমন্বয় লক্ষ করা যায়।
রবিদাসের প্রভাব উত্তর ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর অনুসারীরা আজও রবিদাসিয়া নামে পরিচিত। পাঞ্জাবে, উত্তর প্রদেশে, মধ্যপ্রদেশে, রাজস্থানে এবং দেশের বাইরে পাঞ্জাবি শিখ ও দলিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে তিনি গভীরভাবে সম্মানিত।
তিনি যে ‘বেগমপুরা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আজও মানবসমাজের সামনে এক নৈতিক আদর্শ, যেখানে নেই শ্রেণি, নেই শোষণ—আছে কেবল প্রেম, সমতা ও ভক্তির ঐক্য।
সন্ত রবিদাসের একগুচ্ছ কবিতা রবিদাস হিন্দি, ব্রজ ও পাঞ্জাবি মিশ্রিত ভাষায় পদ রচনা করেন। তাঁর কাব্যে ছিল সরলতা, ঈশ্বরপ্রেম ও মানবসমতার বার্তা। তাঁর পদাবলিতে আত্মবোধ, ভক্তিরাগ, সমাজসচেতনতা ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার সমন্বয় লক্ষ করা যায়।তুমি যদি পর্বত হও
তুমি যদি পর্বত হও,
তবে আমি ময়ূর।
তুমি যদি চাঁদ হও,
তবে আমি চকোর।
ও মাধো, তুমি যদি আমাকে ছাড়ো,
তবে আমিও তোমাকে ছাড়ব।
আর আমি যদি তোমায় ছাড়ি,
তবে আর কার শরণ নেব আমি?
তুমি যদি প্রদীপ হও,
তবে আমি সলতে।
তুমি যদি তীর্থস্থান হও,
তবে আমি তীর্থযাত্রী।
তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা
খাঁটি এবং সত্য।
আমি যখন তোমায় ভালোবেসে ফেলি,
তখনই ত্যাগ করি সকল অন্য প্রেম।
আমি যেখানেই যাই,
সেখানে তোমারই সেবা করতে চাই।
আর কোনো দেবতা
তোমার মতো প্রভু হতে পারে না।
তোমার বন্দনায়
আমি কেটে ফেলি যমের ফাঁস।
ভালোবাসার তৃষ্ণায়
রবিদাস উচ্চ স্বরে গান গায়।
নামই সত্য
নামই একমাত্র সত্য,
হে রবিদাস, শুরুতে যেমন ছিল সত্য,
শেষেও তাই থাকবে সত্য।
নামই সমস্ত পাপ ও যন্ত্রণার বিনাশ করে,
এবং এটাই প্রকৃত আনন্দের ধনভান্ডার।
একমাত্র মনে করে ধ্যান করো,
ভগবানের প্রতি ভক্তি করো, হে রবিদাস।
ভেতরে যেন আপনিই যেন বাজে
সত্য নামের অনুরণন।
যখন সুরত (চেতনা) শব্দে (শব্দরূপ ঈশ্বরে) মিশে যায়,
তখনই মিলন ঘটে পরম আনন্দের।
ভেতরে জ্বলে আলো,
আর উদ্ভাসিত হয় ঐশ্বরিক সুখ।
যখন আমি ছিলাম
যখন আমি ছিলাম,
তখন তুমি ছিলে না।
এখন তুমি আছ,
আমি আর নেই।
যেন ঝড় তোলে ঢেউ
জলে—
তবু সবই জলজলে।
ও মাধো,
এই মায়াকে কেমন করে ব্যাখ্যা করি?
যা আমরা ভাবি, তা তো নেই।
একজন রাজা
সিংহাসনে ঘুমিয়ে
স্বপ্নে দেখে সে এক ভিখারি।
তার রাজ্য চোখের সামনে উধাও হয়ে গেলে
সে ভারী শোকে ডুবে যায়—
আমাদের অবস্থাও তাই।
যেন সেই সাপ-রশির কাহিনি—
আমি কিছুটা জানি এই রহস্য।
অনেক বালা দেখেও আমরা ভাবি
সোনার কত রকম রূপ!
কিন্তু সবই আসলে চিরকাল সোনা।
সবকিছুর মধ্যেই
আছেন প্রভু,
অসংখ্য রূপে প্রকাশিত।
প্রতিটি কণায় তিনি খেলেন।
রবিদাস বলে,
তিনি আমার হাতের থেকেও কাছাকাছি।
সবই ঘটে
তাঁরই ইচ্ছায়।
তুমি আমি এক
তুমি আমি এক—আমাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
আমরা সোনার মতো আর চুড়ির মতো,
জলের মতো আর ঢেউয়ের মতো।
আমি যদি পাপ না করতাম, হে অনন্ত প্রভু,
তবে তুমি পাপী উদ্ধারকারী নামে
কেমন করে পরিচিত হতে?
তুমি আমার প্রভু, অন্তরতত্ত্বজ্ঞানী, হৃদয়ের সন্ধানকারী।
ভৃত্য তার প্রভুর মাধ্যমে পরিচিত,
আর প্রভুও তার ভৃত্য দ্বারা জানা যায়।
আমার দেহ দিয়ে যেন তোমার সেবা ও উপাসনা করতে পারি।
রবিদাস বলে,
যে বোঝে যে প্রভু সবার মধ্যেই সমভাবে বিরাজমান,
সে মানুষ বিরল।
বেগমপুরা
বেগমপুরা—এই শহরের নাম,
যেখানে কোনো দুঃখ-কষ্ট নেই।
না কর, না খাজনা, না সম্পত্তির মালিকানা;
না অন্যায়, না ভয়, না নির্যাতন।
ভাইরে আমার, আমি তো এই শহরকেই নিজের বলে বেছে নিয়েছি,
দূরের এই দেশ, যেখানে সবকিছুই সঠিক, সবকিছুই সৎ।
এই রাজ্য চিরস্থায়ী, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ,
যেখানে কেউ দ্বিতীয় বা তৃতীয় নয়—
সবাই সমান, সবাই এক।
সবাই যার যা ইচ্ছা তাই করে,
স্বচ্ছন্দে চলে রাজপ্রাসাদের ভিতর-বাহিরে,
কেউ বাধা দেয় না।
রবিদাস, এক চর্মকার, যে এখন মুক্ত;
যে আমার এই শহরের সাথি, সে-ই আমার বন্ধু।
????️ অন্য আলোর ফেসবুক পেজ ফলো করুন